অকৃত্রিমরূপ
“”””””””””””””””/আগমণী ধর
জারুল বৃক্ষতল ফুলেফুলে শোভিত।
ফুটেছে কদম কামিনীকাঞ্চন
মাধবীকুঞ্জ রঙে রঙ ঢেলে হয়ে উঠেছে বর্ণীল।
ডালিম মুকুলিকা প্রজাপতি প্রেমে সহাস্যমুখে সূর্যলোকে আড়ষ্ট।
জবা,কাঞ্চন, করবীর আবডালে বসেছে ছোট্টছোট্ট টুনটুনি।
ঠোঁটে ঠোঁটে কত কথা কত কিচিমিচি ভালোবাসার সুরধ্বনি।
আম জাম লিচু কাঁঠাল পেয়ারা এমনি ফলবতী বৃক্ষ গুল্মগুলো রোদ্র মাখছে গায় আবার অনায়াসে বৃষ্টিতে স্নান সেরে উজ্জীবিত হচ্ছে আপন ফল সম্ভারে।
কদম ফুটুক এবার বিভাবরীর ঘুমভাঙুক শ্যামা দোয়েল বুলবুলির গানে।
আকাশের মেঘমালা অঙ্গরাখা হোক এবার এঘর ও ঘর ছুটেছুটে কাজ করা পল্লীবালার।
সাঁতরে চলুক কিছু হংসসারি বৃষ্টিতে পুকুর কিংবা ধানকাঁটা ক্ষেতের জমাটবদ্ধ জলের সাগরে।
উদয়াস্ত কর্মঠ তারুণ্যপ্রাণ আরও উদ্দামতা নিয়ে পারি দিক বন্ধুর পথ।
কাদাজলে মাঠে মাঠে কিশোর উল্লাস হোক বল খেলাচ্ছলে।
পিছলে পড়ুক কাদাজল গায়ে মেখে মায়ের অবাধ্য দস্যি শিশুর দল।
ঘরে বন্ধী মানুষেরা ছাদেই না হয় মেতে উঠুক বৃষ্টি ভেজার উন্মাদনায়।
বর্ষণসিক্ত বসতি আনন্দে মুখরিত হোক কিচ্ছা গল্প খিচুড়ি ইলিশ আয়োজনে।
এ বরষায় ধূলিধূসর পথ হয়ে উঠুক পঙ্কিলতা মুক্ত।
ফুলেফুলে, গানেগানে, রঙে রঙে, প্রাণে প্রাণে, মনে মনে অঙ্কুরিত হোক স্নিগ্ধতা সজীবতা।
প্রকৃতির অকৃত্রিমতা বিন্যাসিত হোক আমাতে তোমাতে আমাদের বর্তমানে।