আঁধারের সময়সীমা
কবি নাজনীন নাহার
আমার আজ কবিতা লেখা হয়নি,
হয়নি গল্পের ঘরে একটুকুও ঢু মারা।
আমার উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিরা,
কেমন বিষণ্ন মলাটে ঘুমিয়ে।
ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিল আমার মন খারাপ,
আজ পুরোটা দিন আর রাতের অর্ধভাগ।
তথাপি;
এই নিশুতি রাতের আয়ু রেখা ধরে ,
নেমে আসল কবিতার কিছু অক্ষর আকৃতি।
মনের জল চৌকিতে উদ্বাস্তু ভাবনারা,
দিশেহারা চোখে পায়ের তলায় মাটি খুঁজছিল।
পেটে তার ক্ষুধার দৌরাত্ম্য,
চোখে তার ঘুমের রাজত্ব।
অথচ আমার কবিতারা দু’চোখ বেয়ে,
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে নেমে আসতে থাকল;
কাব্য তৃষ্ণায়।
আমার আঙ্গুলে,
স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণের মাখামাখি দুঃখ সুখ।
শেষ রাতের মধ্যে উঠোনে,
শালিকের কিচিরমিচির শব্দ ঘোর।
আমি এক পা দু’পা করে এগিয়ে যেতেই,
উড়ে যায় আমার বেহিসাবি স্বপ্ন সুখ।
তবুও হাত বাড়িয়ে তুলে আনি,
একপ্রস্থ কবিতার মহোৎসব।
আলগোছে বুকের পাঁজরে আঁকড়ে ধরি,
অগুনতি রঙের কবিতার কোলাজ।
অতঃপর;
কবিতা ঘোরে পার করে দেই,
সমস্ত আঁধারের সময়সীমা।