আজ দেবীর বোধন, নাটোরের মন্দিরে সাজ সাজ রব
নাটোর কণ্ঠ: শেষ হলো অপেক্ষার পালা। আজ বুধবার দুর্গতিনাশিনী দশভুজা দেবীর বোধন। কাল বৃহস্পতিবার থেকে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়েই সারাদেশে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার শরতে নয়, দেবী দুর্গা মতের্য আসছেন হেমন্তে।
বোধন দুর্গাপূজার প্রধান একটি আচার। ‘বোধনথ শব্দের অর্থ জাগরণ বা চৈতন্যপ্রাপ্তি। পূজা শুরুর আগে সন্ধ্যায় বেলশাখায় দেবীর বোধন দুর্গাপূজার একটি অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ। সাধারণত শুক্লা ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বোধন হলেও এবার তিথি অনুযায়ী পঞ্চমীতেই বোধন পড়েছে। শরত্কালের দুর্গাপূজায় এই বোধন করার বিধান রয়েছে।
পুরাণ অনুসারে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধের উদ্দেশ্যে ভগবান রামচন্দ্র শরৎকালে দুর্গাপূজা করেন। অকালে দেবীকে তিনি বোধন করেন বলে একে অকালবোধনও বলা হয়।
এবারে করোনা মহামারির কারণে উৎসবের বদলে পূজায় সীমাবদ্ধ থাকার কথা মণ্ডপগুলো। কিন্তু আদতেই কি তা থাকবে ? এমন প্রশ্ন নাটোরের সাধারণ ভক্তবৃন্দ ও মানুষের মাঝে। এরইমধ্যে প্যান্ডেল গুলোতে সাজ সাজ রব উঠেছে। কোথাও কোথাও হচ্ছে আলোক সজ্জাও। বড় বড় সাউন্ড বক্স আর সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করেছে মণ্ডপগুলো। উদ্দাম নৃত্য আর যন্ত্রসঙ্গীতের উচ্চস্বরে আতঙ্কিত বৃদ্ধরা। বিগত কয়েক বছর থেকে বিজয় দশমীর প্রতিমা নিরঞ্জনের পজিশনে বের হয়ে আনন্দ ফুর্তি করার পর বাড়ি ফিরে মারা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন করে যুবক। কেন মারা যাচ্ছে প্রতিবছর এই সমস্ত যুবকরা? শান্তিপ্রিয় মানুষের দাবি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের।