আনত নয়নে চেয়ে থেকো না ভূমিতে
কবি সুপ্তি জামান
আনত নয়নে চেয়ে থাকে ভূমির দিকে
অষ্টাদশী এক মেয়ে।
পুটুলি পেঁচানো পুঁচকে বাচ্চটাকে কোলে নিয়ে।
যেন পৃথিবীর কোন দিকে দেখবার নেই কোন কিছু।
বাঁকা ভ্রু, নন্দনী ফুলের ধারের মতো বাঁকা ঠোঁট
শাপলা ফুলের মতো শ্বেত শুভ্র গায়ের রং।
গোলাপি রংয়ের সালোয়ার কামিজে আরো বেশি মনোরম।
সুন্দরী তাই খুব সহজেই পাত্র জুটেছে মন্দ নয়।
মেয়ে তোমার মনে কি জাগে কখনো আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন!
মেয়ে তুমি আর কখনো কস্মিন কালেও জানবে না
জানালার ফাঁক গলিয়ে দু নয়ন বাড়িয়ে ঐ আাকাশটা দেখা যায়!
মেয়ে তুমি আর কখনো কইবে না কথা ঝংকার তুলে বীনায়।
মেয়ে তুমি রাত্রি জাগ কেবলই শিশুর কান্না থামাতে।
মেয়ে তুমি সুখে থেক অনেক কিছু না জেনে।
মেয়ে তোমায় বলবে একদিন ওতো কিছু জানে না।
মেয়েটিকে যারা জানতে দিল না, বুঝতে দিল না
শেখানো হয়েছে আনত নয়নে
ভূমির দিকে চেয়ে থাক।
তাদের সকলের কোন দিন কি
হবে না দাঁড়াতে কাঠগড়ায়।
জানতে না দেয়া, বুঝতে না দেয়া,
নিজের পায়ে দাঁড়াতে না দেয়া,
পঙ্গু করে রাখা নয় কি কোন অপরাধ!
মেয়ে তুমি চেয়ে থাকো আনত নয়নে ভূমির দিকে!
অনেক দিন আগে এমনি আর একজনকে দেখেছিলাম
অনেক আদরের সপ্তদশী মেয়েকে বাবা তুলে দিয়েছিল
সুপাত্রের হাতে।
কোন এক কারনে সুপাত্র কারাগারে যাবৎজীবনের তরে।
আহারে সেই আদরের মেয়েটি নিয়ে
দুটি সন্তান কি নিদারুন বাস্তবতার মুখোমুখি আজ।
কোন একটি স্কুলে কাজ নিয়েছে আয়ার।
বাবা তুমি ছেলেকে আত্মনির্ভরশীল হতে শেখাও
তবে কেন নয় মেয়েটিকে।
মেয়ে তুমি চোখ তুলে তাকাও উপড়ে
আর চেয়ে থেকো না আনত নয়নে ভূমিতে।