আবার দেখা হবে
কবি সুপ্তি জামান
চলে গেছো বলে একবারও কি-
আসতে নেই স্বপনে!
স্বপ্ন দেখি একদিন
ঘুমের মধ্যে সশরীরে আসবে তুমি
আমি দেখে লইব খুব করে।
আমার বিশুষ্ক চোখ এখন ভিজে ওঠে জলে
আমার সামনে এখন আর কোন আগামী নেই
তুমি ছিলে অগ্রগামী পথিক
তোমার পিছনে আমি
তোমার পরেই আমার পালা
খাদে পড়ে যাওয়ার।
শরতের সকাল ধোঁয়াশা কুয়াশায় মোড়া
সন্মুখের সকলই এখন কেমন ঝাপসা মনে হয়
শুধু অতীত স্মৃতি ছাড়া
কোন এক মাঘের দুপুরে
ছোট পুকুরের পশ্চিম পাড়ে
ঝলমলে রোদ এসে পড়েছিল টলটলে জলে
গোসল করিয়েছিলেন পিতা
শীতকে দুহাতে দূরে ঠেলে দিয়ে
তাই আজ কেবলই মনে হয় পিতার মতো
ভালো কেউ বাসতে পারে না কোনদিনও।
কোন দিন আর হবে না দেখা
এ মানা যায় না
এ মেনে নিলে আমি আমার সন্মুখে
গভীর খাদ ছাড়া আর কিছু দেখি না
তাই কল্পনায় অট্টালিকা গড়ি
নিশ্চয়ই তুমি সেখানে খুব সুখে আছো
একদিন সেখানে তোমার সাথে
আমার আবার দেখা হবে—
সুখের স্বর্গরাজ্যে পিতা তুমি ঘুমাও শান্তিতে
আমিও তোমার পাশে-
একদিন শয্যা লইবো পেতে।
ছোট গল্পের মতো শেষ হওয়ার পরও
কিছুটা জীবন বেঁচে রয় কল্পনায়।
প্রয়াত পিতাকে বাঁচিয়ে রাখি স্মৃতির যাদুঘরে
কেবিনেটে হ্যাঙ্গারে ঝুলছে পিতার শার্ট
জানালার পাশে চেয়ার
সব ছেড়ে মানুষ কোথায় চলে যায়!
কল্পনার চাঁদরও শরতের
ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার মতো
পিতার মলিন মুখ দূরে মিলিয়ে যায়
ক্রমশ তাকে কুয়াশার মতো মনে হয়।