নাটোর কন্ঠ : ২৩ শে মে মঙ্গলবার বেলা ২ টায় নাটোরের উত্তরা গণভবন পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে। এ সময় নাটোর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন, সুইডিশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি আন্না এসভেন্টসন, হেড অব অ্যাডমিন জ্যাকব ইটাট এবং ইন্টার্ন লিন ডাভরিন।পরিদর্শন দলকে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে রোপনকৃত হৈমন্তী গাছ,
মূল প্যালেস ভবন, সংগ্রহশালা, ইতালিয়ান গার্ডেনে রাজকীয় সময়ে রোপণকৃত দুর্লভ বৃক্ষ, কুমার প্যালেস, হরিণ খামার দেখানোসহ সংক্ষিপ্তভাবে রাজবাড়ীর ইতিহাস জানানো হয়।
পরিদর্শন শেষে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। অসাধারণ এই স্থাপত্য, রাজকীয় স্মৃতি বিজড়িত নাটোরের উত্তরা গণভবনকে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আগলে রাখার পরামর্শ দেন।
এর আগে সুইডেন রাষ্ট্রদূত নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় সুইডেনের জনপ্রিয় লেদার ব্যাগ ব্র্যান্ড স্যান্ডলুন্ড/ হোসেন‘এর বিনিয়োগে মুক্ত খামার পরিচালিত ‘কাও ফান্ডার ইনিশিয়েটিভ’ (সিএফআই) প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন।
মুক্ত খামার সুত্রে জানা যায়, ২২ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্ত খামার পরিচালিত কাউ ফাউন্ডার ইনিশিয়েটিভ (সিএফআই) প্রকল্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিজ দেশের পতাকাবাহী গাড়িতে বাগাতিপাড়ায় আসেন।
স্যান্ডলুন্ড/হোসেন ব্র্যান্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইমরুল আহমেদ তুলিন তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় উপজেলা জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মুক্ত খামারের কার্যক্রম ও খামারি সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও খামার পরিদর্শন শেষে, বাগাতিপাড়ার রাস্তায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান গাড়ি দেখে মুগ্ধ হন ও তিনি নিজে ভ্যান গাড়ি চালিয়ে সবাই কে তাক লাগিয়ে দেন।
আম নামানোর পদ্ধতি দেখেও তিনি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। পরে উপজেলার নওশেরা গ্রামে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনামলের নির্মিত কলকুঠি যেটি পরবর্তীতে ১৯৭৪-১৯৮১ সালে সুইডিশ সোয়ালোজ প্রজেক্ট হাউস হিসেবে ব্যবহার হতো তা পরিদর্শন করেন।
মুক্ত খামারের পরিচালক আরিফুল রহমান কনক জানায়, “সুইডেনের জনপ্রিয় ব্যাগের ব্র্যান্ড স্যান্ডলুন্ড/হোসেন একটি বাংলাদেশ ও সুইডেনের যৌথ উদ্যোগ।সিএফআই তাদের একটি প্রজেক্ট যা মুক্ত খামারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
মূলত তারা সেই প্রকল্পটি সরেজমিনে দেখতে এসেছেন। এ প্রকল্পের কার্যক্রমে কিভাবে গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মহিলারা গরু লালন পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ও কিভাবে আরও টেকসই ব্যবস্হা গড়ে তোলা যায় সেই বিষয়গুলো তারা পরিদর্শন করেন।’’
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে জানান, “বাংলাদেশ ও সুইডেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক রয়েছে। গত বছর তার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করেছি আমরা। এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো গভীর হবে আশা করি।
বাগাতিপাড়া উপজেলার এই কার্যক্রম টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় পথিকৃত হবে ও অন্যদের উৎসাহ প্রদান করবে। তিনি আরও বলেন, এখানে ৫০ বছর আগেই সোয়ালোজ নামে একটি-
প্রকল্পের মাধ্যমে সুইডেনের সাথে বাংলাদেশের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাগাতিপাড়ার একটি গ্রামের নামকরণ হয়েছে সুইডেনপাড়া। এ সব জেনে ও দেখে আমি মুগ্ধ ও অভিভূত।’’