নাটোরকন্ঠ: বাবা মাকে হারিয়ে অসহায় উম্মে হাবিবার এখন কি হবে?। অসহায় দুটি চোখ এখনো খুঁজে ফিরছে বাবা-মাকে। অথচ সে জানেনা কি নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে তার পিতা-মাতাকে। আর কোনদিনই হাবিবা তাদেরকে দেখতে পাবে না। ৪ বছরের দুরন্ত হাবিবা কাঁদতে কাঁদতে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গেছে। শুধু ডাগর দুটি চোখ দিয়ে খুঁজে ফিরছে স্বজনদের। অথচ কত কথাই না খইয়ের মতো ফুটত ছোট্ট ওই মুখটা দিয়ে। দুর্ঘটনার পরপরই সে বলছিল তার বাবা এবং মায়ের নাম। কান্না যেন তার থামছিল না। শুধু চিৎকার করে বলছিল আমি মায়ের কাছে যাব আমি বাবার কাছে যাব। কিন্তু সে জানেনা আর কখনোই সে তার বাবা-মায়ের কাছে যেতে পারবে না।
আজকে বনপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতি বরণ করতে হয়েছে হাবিবার বাবা ও মাকে। আজ সোমবার দুপুর ১২ টা ,মায়ের কোলে বসে হয়তো কত আবদার ই না করছিলো ছোট্ট হাবিবা। হঠাৎই বনপাড়া ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক উল্টে এসে পড়ে তাদের গায়ের উপরে। সন্তানকে দূরে ছিটকে ঠেলে দেয় মা। কিন্তু মার বাবা বেরিয়ে আসতে পারেনি অটোভ্যান থেকে। মুহূর্তেই কয়েকশো মনের বস্তা এসে তাদের গায়ের উপরে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হাবিবার বাবা ও মা। মুহূর্তেই যেন সবশেষ , এই পৃথিবী থেকে ঝড়ে যায় তাজা দুটি প্রাণ।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ জানান, উপজেলা চত্বরে নাইটগার্ড জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ভাড়া নিয়ে থাকতেন উম্মে হাবিবার বাবা-মা। শিশু সন্তানটিকে আপাতত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তুলে দেয়া হবে তার স্বজনদের কাছে।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে বনপাড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজে ধানের ভুসি বোঝাই ট্রাক উল্টে ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যানের দুই যাত্রী বনপাড়া পৌরসভার গুনাইহাটি মসজিদের ইমাম আব্দুল ওহাব শেখ ও তার সহধর্মীনি স্বর্না বেগম নিহত হন। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার চকনুর গ্রামে।