নাটোর কন্ঠ : নাটোরের গণমানুষের নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপিকে, মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় নাটোরবাসি, এ তাদের প্রাণের চাওয়া। বিভিন্ন মিডিয়া আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দাবি উঠেছে জোরে শোরে। কারন বলা হয়েছে – বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুরো বিশ্ব কার্যত অচল হয়ে পড়েছে, যখন থমকে গেছে পৃথিবীর গতি। দেশের অনেক এমপি যেখানে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। বেশ কিছু এমপি এই করোনাকালীন দুর্যোগে যাননি এলাকায়, মানুষের পাশে দাঁড়ায়ননি। তখন নাটোরের শিমুল এমপির মানুষের মাঝে যে সমপৃক্ততা, যে কার্যক্রম তা লক্ষনীয়। তার নির্বাচণী এলাকার এমন কোন স্থান নেই যে তিনি সেখানে জনতার কাছে যাননি। তার এলাকার মানুষ আজ এই দুর্দিনে তাকে পাশে পেয়ে খুশি।
যদিও বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের মতো আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, তবুও অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের মাতৃভূমি অনেকটা নিরাপদ রয়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া বিশ্বশান্তির অগ্রদূত,গনতন্ত্রের মানসকন্যা বিদ্যানন্দিনী,দেশরত্ন শেখ হাসিনার দুরদর্শি নেতৃত্বের কারনে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি নির্দেশনা মেনে কাজ করার চেষ্টা করছে সারা বাংলাদেশের আওয়ামী ঘরানার প্রতিটি নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে কিছু নেতা নিজেদের কার্যক্রমের মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন, তেমনি একজন নেতা নাটোর-নলডাঙ্গা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল।
বিগত দুই মাস ধরে নাটোর-নলডাঙ্গার সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন,নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাপকভাবে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছেন সাধারণ মানুষের মাঝে। উপহার পায়নি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুস্কর। নাটোর সদর ও নলডাঙ্গায় নয় এমপির উপহার পৌঁছে গেছে নাটোর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। ১২ টি ইউনিয়ন ও দুইটা পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড, গ্রাম, পাড়া মহল্লায় নিজে গিয়ে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। অনেকেই যখন করোনা আতঙ্কে ঘরে বসে থেকেছেন সেই সময় তিনি প্রতিটি যায়গায় নিজে উপস্থিত থেকে অসহায় মানুষের কষ্ট দুর করার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। সাধারণ জনগনের পাশাপাশি নিজ দলের অসচ্ছল নেতাকর্মীদের মাঝেও বিতরণ করেছেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে উপহার সামগ্রী,ব্যতিক্রম উদ্যোগ হিসেবে ও সেচ্ছাসেবকদের উৎসাহ দেবার লক্ষে ত্রান কমিটির সবাইকে দিয়েছেন ঈদ উপহার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ত্রান সামগ্রীর পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুই কোটি টাকার অধিক খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন, রাস্তার পাশে মাইক হাতে নিয়ে সাধারণ মানুষদের সচেতন করার চেষ্টা করেছেন, পাশাপাশি সেই সকল মধ্যবিত্ত মানুষের কাছেও খাবার পৌঁছে দিয়েছেন যারা কারো কাছে সাহায্য চাইতে অপারগ। নিজের ফোন ২৪ ঘন্টা খোলা রেখেছেন এবং ফোনে অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের এমপি,মন্ত্রীদের কার্যক্রম আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারি, সেই হিসেবে শিমুল এমপির মত দিনের পর দিন মাঠে উপস্থিত থাকতে খুব কম নেতাকেই দেখো গেছে। তিনি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সে লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি জানানো মানবতার ফেরিওয়ালা, জননন্দিত, জনপ্রিয় জননেতা শফিকুল শিমুল এমপিকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।