অযাচিত বিষাদ
দাফন করেছি ভালোবাসা ,
সব অভিমান অনুরাগ,
ভুলতে পারি না তবুও
চিত্ত গহীনে সেই মায়ার দাগ।
আজও মনে জ্বলে মিটিমিটি
প্রেমানুভূতির মিষ্টি আবেগ,
প্রণয়াবেগ সব বিরহে পুড়ে
বাষ্পীভূত ছাইরঙা মেঘ।
স্বপ্ন ভঙ্গের আঘাত ভুলি
নিঃসঙ্গতাকেই সাথী করে
তবুও হৃদয়ে তোমারই স্মৃতি
অযাচিত বিষাদে উড়ে!
২০-১০-২০১৯
গুমোট হৃদয়
শ্রাবণের লিলুয়া বাতাসে
উদাস দুপুর,
গহীনে…আরো গহীনে
গুমরে গুমরে কেঁদে উঠে
বিষণ্ণতার সুর!
ব্যালকনিতে সোনালি রোদ্দুর
মানিপ্ল্যান্টের সবুজ পাতা
ছুঁয়ে যায় ঝিলমিলে,
ধূসর অতীত সাঁতার কাটে
চোখের নোনা জলে।
আলোকিত বিলাসী আবাসে
গুমোট হদয় মাকড়সার জাল বুনে,
সময়ের ধুলোয় অস্পষ্ট প্রেমমূর্তিতে
শীর্ণ আলোর খেলা
বিষাদ রক্ত ঝরায় আবেগের ভাঙা দর্পণে।
গোধূলি
বিকেলের সীমান্তে এসে
সূর্য তার সারাবেলার ক্লান্তিত্বে
পশ্চিমাকাশে অস্তরাগ আঁকে
সিঁদুরে লালিমায়,
শ্রাবণের শেষ প্রহরের তাপদাহে
মন কেমন করা বিষণ্ণ বাতাস
আলতো স্পর্শে ছুঁয়ে যায়
জলছায়া সন্ধ্যায়।
আলোর প্রত্যাশা
চারদিকে আঁধারের ঘোর
কৃষ্ণপক্ষের নিকষ অন্ধকারের গহীনে
অথৈ তিমিরে কেবলই তলিয়ে যাই,
নিঠুর একাকীত্বের নীরব নিঃসঙ্গতায়।
নিয়মনীতির দোহাই দিয়ে
সকল যন্ত্রণার ভার একান্তেই চলি বয়ে,
কষ্টগুলোকে সাথে নিয়ে পাশাপাশিই হাঁটি
দুঃস্বপ্নের ছায়া মাড়িয়ে।
তবুও মাঝে মাঝে আশা জাগানিয়া এ মন
থমকে দাঁড়ায় কিছুক্ষণ,
সারাবছর বর্ষার রিমঝিম আকাশের মুখ কালো
কতই বা লাগে ভালো…!
খানিকটা বসন্ত চায় মন
চায় ঝকঝকে নীলাকাশ ভালোবাসার আমন্ত্রণ,
নিরাশার এই জীবনে যদি হঠাৎই জ্বলে উঠতো
এক আলোর পসরায় দীপ্ত একটি ভুবন!
২৬-৭-২০২০.
অন্তরদান
আমি যেন সুগন্ধি ধূপ
আমাকে পুড়িয়ে তাই
সবারই এতো সুখ।
হৃদয় আমার বহৃিশিখা
আমার দহিত মনেই পায়
সবাই আলোর দেখা।
চোখ দুটো মেঘলা আকাশ
আমায় কাঁদিয়েই সকলে
করে বৃষ্টি বিলাস।
ভাগ্যের লিখনই যন্ত্রণা
পদে পদেই সইছি
এই নিঠুর ছলনা।
ভুলে সব অভিমান
ব্যথিত হই অন্যের ব্যথায়
পরের তরেই এ অন্তরদান।
তবুও হঠাৎ মনে ঝড় উঠে
ভেঙেচুরে ধৈর্য্যর বাঁধ
একুল ওকুল যায় টুটে।
২-৯-২০১৮.