আমরা যারা বেয়াদব হয়েছি
সময়কে সাক্ষী করে
সত্য বলার অধিকার
আমাদের আজন্ম
তোমাদের সময়ের সন্তান ভেবে
নিজেদের বোধ, ভালবাসা
অঙ্গীকার, বিশ্বাস অর্পণ করে
চেয়েছি সময়ের সুবাতাস বয়ে যাক
জাতীয়, আন্তর্জাতিকতার সীমানা পেরিয়ে
মহাবিশ্বের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে
হতে চেয়েছি বিশ্বমানবতার অংশীদার
সত্ সৃষ্টি, সুসময়ের আশায়
সাতরঙা ঝান্ডা ললাটে লটকে
ঘোষণা করেছি-
তোমরাই অগ্রগামী, মানবতার ধারক-বাহক
আমাদের আশা ভরসার অনির্বাণ প্রজ্জ্বলিকা
সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষার নিকুচি করে, নির্ভরতার প্রশ্রয়ে-
কামুকতাই লালন করেছ তোমরা
ভালবাসার বিন্দু-বিসর্গ অবশিষ্ট রাখনি
রাখনি নির্ভেদ নিয়নের শেষ বিন্দুটুকু
ভালবাসার আশ্রয় হতে গিয়ে
কেবলই জন্ম দিয়েছ
অজস্র, অসংখ্য জারজ
দুর্গন্ধি বির্যে
জননী গর্ভে সন্তান দানেও
পিছপা নয়
তোমাদের জারজ শরীর
তোমাদের দায়িত্বহীনতা, ভোগবাদীতা
আমাদের নিরাশ করেছে;
করেছে ক্ষ্যাপা, দলছুট
আমরা বেয়াদব; বেয়াদব হয়েছি
পোষা প্রাণীকে ‘পেট’ বলতে ভালো লাগে; যদিও তারা ‘ডোমেস্টিক’ না। কাপুরুষও!
বাতাসের গতিবেগ অনেক তীব্র জেনেও,
ঝড়কে ঝোড় হাওয়া বলতে বাধে না
ইদানিং কাঁচাগোল্লারও অনেক শাখা গজিয়েছে মানি
তবে, সব ডালে একই ফল ধরেনা হঠাৎ
তবু সমান্তরালে তারাই এগিয়ে
কারণ, দু’চার বাড়ি পরে থাকে আমার দুলাভাই
তাঁর পাশের বাড়ির দারোগা দুপুরে নাক-ডাকায়
আামাদের খুব দহরম!
তার আসক্তি নিম্নাঙ্গে
আর সরলতা তার বোন
তার সাথে কথা সেই ছোটকাল থেকে
শুনেছি; সে আগের মতোই সরল এখনো, অপরূপ
হাঁটলে পাওয়া যায় গোলাপি সৌরভ
মানিক দাকে মনে আছে নিশ্চই
গলায় দড়ি নিয়েছিলেন
আমার সাথে সরুর তখন ভাব
পরে জানলাম,
সরলতা-মানিক দা অথবা মারিক দা-সরলতা একসাথে ঘুমাতো!
এমনকি দুপুরে, আর আমাকে দেখাতো প্লেটোনিক রংবাহার
আমরা তার কাছাকাছি থাকি
তাদের কাছাকাছি থাকি
আত্মীয় বহুদিনের
ভালোবাসার প্রাক্তন
আসক্তি এখনও অনাবিল জেনে
বিশ্বাস রাখি
সরলতা তোমাকে বিশ্বাস করি প্রিয়তমা
কেবল ভালোবাসতেই ভয় করে
ছোটবেলা থেকেই নন্টে-ফন্টে দেখার অভ্যেস
আরও ছোটতে পড়েছি পুস্তিকা
বাবা নিয়ে আসতেন
বাবা যে সত্যি-ই ভালোবাসতেন
খুব যত্ন করে গুছিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি
তারা ওগুলো পুড়িয়েছে
সরলতা পুড়িয়েছে
দুলাভাই, ভগ্নী
আত্মীয়তা পুড়িয়েছে
ভালোবাসা পুড়িয়েছে
আমরা বাসায় থাকি
ডিস কেবলে টম এন্ড জেরি!
কি বলবো? বেশ লাগে!