নাটোরকন্ঠ : গুরুদাসপুর থানার অন্তর্ভুক্ত বিয়াঘাট ইউনিয়নের এক নাগরিক মো: মাসুদ রানা তার ফেসবুক পেইজে এমপি আব্দুল কুদ্দুসের প্রতি আহবান জানিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছে তা হুবহু তুলে ধরা হলো। …………….
গুরুদাসপুর থানার অন্তর্ভুক্ত বিয়াঘাট ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি অবহেলিত এবং বিয়াঘাট বাবলাতলা গ্রামের মানুষ সুবিধা বঞ্চিত নাগরিকদের মধ্যে অন্যতম।
গ্রীষ্মকালে কালে রাস্তার ধুলা খেতে হয় এবং চলাচলের সময় পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুলায় পা ডুবে যায়।
সময় এখন বর্ষাকাল গ্রামের শতশত পরিবার এর দুর্ভোগ এখন চরম শিখরে। চোখে মুখে অসহায়ত্ত যেন পরাধীন ভূখণ্ডে পরাধীন জাতি।
১দিন বৃষ্টি হলে ৭দিন অচলাবস্থায় থাকে এ রাস্তা। সমস্যা বলে প্রকাশকরার মত না।প্রতিনিধিত্ব করার মত কেউ নাই। বেশির ভাগ মানুষ কৃষক, নুন আনতে পানতা ফুরায়।মানুষ প্রকৃতির কাছে অসহায়।
গ্রাম হবে শহর
শিক্ষা হবে সুনিশ্চিত
১. কিভাবে গ্রামের মানুষ শহরের সুবিধা পাবে?
যেখানে রাস্তার যদি হয় এই অবস্থা। যেখানে মানুষ সামন্য নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
২. কিভাবে শিক্ষা সুনিশ্চিত হবে?
কথায় আছে শিক্ষার জন্য সূদুর চীন দেশে যাও চীনত দূরের কথা! গুরুদাসপুর উপজেলায় যেতে পারে না প্রাইভেট পড়ার জন্য।
৩. সুচিকিৎসাত দূরের কথা মানুষ অসুস্থ হলে রাস্তায় মরতে হয়।কোন যানবাহন পাওয়া যায়।প্রসুতি মায়ের যখন প্রসব বেদনা উঠে তখন কি ৩ কি.মি হেটে হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব?
® আমার বাইক গৃহবন্দী, আমি বাড়ি থেকে সহজে বের হতে পারি না। আমার মত এমন শতশত মানুষ অসহায়। বেশিরভাগ বাইকার নিজের বাইক মানুষের বাড়িতে রাখতে হয়।
® সিএনজি, ভ্যান চালাক এর কষ্টের কথা অবর্ননীয়।
® আমার মেজ ভাবির বাচ্চা হবে এরকম প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি গর্ভবতী মা রয়েছে। যাদের যেকোনো সময় হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে যাদের জীবন সংকটপূর্ন।
® ফসল নিয়ে হাটে যেতে পরছে না।গ্রামে বেশির ভাগ মানুষ কৃষক তাই পরিবার চলাতে হয় ফসল বিক্রি করে।যা এখন দূর্বীসহ।
® ৫টি মসজিদে মুসল্লীরা খুবই কষ্ট করে সালাত আদায় করে যারা রাস্তা সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
® অনেক ছাত্রছাত্রী গুরুদাসপুরে প্রাইভেট পড়তে যায় যা এখন শুধুই বিলাসিতা।
® গত পরসু এক মুরব্বী কাদা রাস্তায় হাঠতে গিয়ে হাত ভেঙে গেছে যার চিকিৎসা করার তেমন সামর্থ্য নাই ফলে কবিরাজি চিকিৎসা চলছে।
® গুরুদাসপুর বাজেরে ১০ জন মাছ বিক্রেতার মধ্যে এ গ্রামের ৭ জন। যারা প্রাতিদিন কাদার মধ্যে বাজারে হেটে যায়।
® চাঁচকৌড় গুরুদাসপুরে প্রায় পাঁচজন ডাক্তার ও ঔষধ এর ডিসপেন্সারী আছে।যারা এ গ্রাম থেকে প্রতিদিন সকালে যায় এবং রাতে আসে।
® এ ইউনিয়ন এর ৫০℅ অর্থনীতি এ রাস্তার উপর নির্ভর করে যা এখন অকেজো।
এমন শতশত সমস্যা আছে এ গ্রামে।এ গ্রামের মানুষ কাদার মধ্যে বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়।তাদের জীবনে জড়তা ফিরে আসে।
তবু এ গ্রামের মানুষ স্বপ্ন দেখে এমপি আব্দুল কুদ্দুস সাহেব এবার নতুন বাজেটে রাস্তা করে দিবেন। তার দেওয়া ওয়াদা তিনি পূরণ করবেন।
ইনশাআল্লাহ ❤
ভূলত্রুটিমার্জনীয়