গুরুদাসপুর, নাটোরকন্ঠ:
চলছে বর্ষাকাল। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নিন্ম অঞ্চলগুলো বর্ষার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বেশ কিছু জায়গা উচু এলাকা হলেও অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করা এবং পানি বের হওয়ার ক্যানেল না থাকার কারনে ওই ইউনিনের পশ্চিম নওপাড়া গ্রামের প্রায় ৪০০টি পরিবার ভারী বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে রয়েছে এলাকার গরীব দুঃখী সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমীনে গিয়ে দেখাযায়, চাপিলা ইউনিয়নের পশ্চিম নওপাড়া গ্রামের সাথে চাপিলা বাজার ও মৌখারা বাজারে চলাচলের জন্য রয়েছে দেড় কিলোমিটারের একটি কাঁচা সড়ক। প্রায় ২৫ বছর আগে ওই রাস্তাটি সংস্কার হলেও তারপর থেকে এ যাবৎকাল পর্যন্ত ওই রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। রাস্তার আশপাশে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করার কারনে ভারি বর্ষণে রাস্তাটি ডুবে গেছে। তারপরও এলাকার প্রায় ৪০০ টি বাড়িতে হাঁটু পানি বেঁধে রয়েছে। বাড়িতে পানি ওঠার কারনে দুর্ভোগে রয়েছে এলাকার অসহায় পরিবারগুলো।
পশ্চিম নওপাড়া এলাকার মোঃ বজলু হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের চলাচলের এই একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার না করায় টানা বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। রাস্তার ওপরে পানি ওঠার কারনে চলাচলের অনুপোযগি হয়ে যায় সড়কটি। তারপরও এলাকার আশপাশের বেশিরভাগ জমিগুলো কোন রকম পানি বের হওয়ার ক্যানেল না করেই পুকুর খনন করেছে। অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করার কারনে প্লাবিত হয়েছে তাদের গ্রাম। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরশন ও সড়ক সংস্কার করা হলে এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগ থাকবে না।
চাপিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলাল উদ্দিন ভুট্টু জানান, চাপিলা ইউনিয়ন জুড়েই এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইন অমান্য করে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করেছে। পানি বের হওয়ার জন্য কোন ক্যানেল তারা রাখেনি। ইউনিয়ন জুড়ে যে নদী-নালা রয়েছে, সেগুলোর পানি বের হওয়ার ক্যানেল না থাকার কারনে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরশন করতে হলে সর্বপ্রথম পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তাছাড়াও সড়ক সংস্কারের বিষয়টি কর্তপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন বলেন, সরেজমীন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।