ঘড়ি
কবি নমিতা সরকার
ঘড়িটা আজও ঠিক সময় দেয়,
কত যে দিন মাস বছর আর সময়ের সাক্ষী,
এই ঘড়িটা আজও ঠিক সময় দেয়।
কত যে শীত আর বসন্ত পাড়ি দেওয়া,
কত যে ব্যথা বেদনা-
সুখ, দু:খ, হাসি-কান্না পাড়ি দেওয়া,
নি:শ্বাসের ভাঁজে ভাঁজে চিন্তার পরতে পরতে ,
সংসার সাগর পাড়ি দেওয়া
টিক টিক টিক ঠিক ঠিক ঠিক
এই ঘড়িটা আজও ঠিক সময় দেয়।
কোন এক হিতৈষীর আশীর্বাদ স্বরুপ,
ভালবাসা ও শুভেচ্ছা জড়ানো
ঘড়িটি তার হাতে এসেছিলো ,
এই আশায় যে আনাড়ি মেয়েটির পথচলায়
তার মত বিশ্বস্ত ও বিচক্ষন
একজন বন্ধুর খুবই প্রয়োজন হবে!
সেই ঘড়িটা আজও ঠিক সময় দেয়।
সেই যে প্রথম; যেদিন শিশুটি কেঁদেছিল ,
প্রথম যেদিন শিশুটি হেসেছিল,
সবই মেপেছিল
এই ঘড়িটা।
সেই ঘড়িটা আজও টিক টিক টিক
চলছে যে ঠিক।
যান্ত্রিক এই বস্তুটি তার দায়িত্ব কর্তব্য ও সততায়
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবকে হার মানাতে উদ্যত।
বাঁধাহীন দুর্বার অবিরাম গতিতে
ছুটে চলা ঘড়িটি নিরেপক্ষতায়ও অনন্য,
তার কাছে যে নেই কোন কিছুরই মাফ
দিতেই যে হবে সময়ের চুলচেরা হিসাব।
নেই কোন স্বজনপ্রীতি,
নেই কোন আপন পর,
এত বছরের পথ চলায়
নেই কোন ক্লান্তি।
মেয়েটির সুখ দু:খের সঙ্গী
ঘড়িটাকে যে ঠিক চলতেই হবে,
দিতে হবে অজানা পথ পারি
যেতে হবে ভবিতব্যে
টিক টিক টিক ঠিক ঠিক ঠিক,
ঘড়িটা মেপেই চলেছে জীবনের সব দিক।
(১৬ ফেব্রুয়ারী ,২০১৯)