“চোরাবালি”
কবি শাহানা আকতার মহুয়া
এ শহরের নদীলিপি এখন আর ততটা সমৃদ্ধ নয়
নদীখেকো মানুষেরা গিলে খেয়েছে
নারদের স্রোত ; চন্দনা নদীটিও নিশ্চুপ মরে গেছে
জনারণ্যের নজর এড়িয়ে।
নদ ও নদীদের সাথে গভীর মিতালী দেখা যায়
দিকভোলা কিছু কিছু স্রোতস্বিনী নারীর ।
রোদোসী নারীরা কখনো কখনো
বর্ষার নদীর মতো তুমুল কল্লোলিনী হয়ে ওঠে।
রহস্যের মৃদুভাষ খেলা করে তাদের চারুবাক ঠোঁটে।
দূর কোন গঞ্জের ফেরিওয়ালা
নদীর প্রবাহনে এসে মেশে
সেইসব সুজলা নদীতে। প্রসাধনে- প্রীতিতে তারা
চর্যাপদের সেই ডোম্বিনী আজো।
বাণিজ্য শেষে পসরা গুটিয়ে
ফেরিওয়ালা চলে যায় অন্য কোন গঞ্জের ঘাটে
দিকভোলা চোখের স্তব্ধতা ঘুরপাক খায়
স্রোতমগ্ন জলের ঘূর্ণিতে ।
চন্দনা নদী ও চন্দনা নারী তখন আর
পৃথক থাকে না।!
Advertisement