নলডাঙ্গায় কোরবানির ছাগলের হাট জমে উঠলেও ক্রেতা কম থাকায় বিক্রি বাড়েনি

0
227

নলডাঙ্গায় কোরবানির ছাগলের হাট জমে উঠলেও ক্রেতা কম থাকায় বিক্রি বাড়েনি
রানা আহমেদ,নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের নলডাঙ্গা কোরবানীর খাসীর হাট জমে উঠলেও ক্রেতা ও পাইকার কম থাকায় বিক্রি বাড়েনি।ফলে হাটে বিক্রির জন্য আনা শত শত কোরবানীর খাসি ফেরত নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে খামারীরা।শনিবার সাপ্তাহিক এ হাটে বিক্রির জন্য পাঁচ থেকে ছয়শত কোরবানীর ছোট বড় ও মাঝারী সাইজের খাসী তোলা হলেও বিক্রি হয়েছে মাত্র দুই থেকে আড়াইশত খাসি এবং গত মঙ্গলবার হাটে মাত্র একশত খাসী বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাট ইজারদার।

আবার কোরবানীর এ হাটে করোনা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রচার প্রচারনা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে অনেকেই।মাস্ক ছাড়া ও সামাজিক দুরত্ব না মেনে ঘুরছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।আবার কোরবানীর ছাগলের অতিরিক্তি খাজনা আদায় করার দায়ে হাট ইজারদারের এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সরেজমিন নলডাঙ্গা কোরবানীর ছাগলের হাট ঘুরে দেখা যায়,হাটে প্রচুর লোকজনের ভীর।কোথাও স্থাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।হাটে বিক্রির জন্য পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক কোরবানীর ছাগল তোলা হয়েছে।হাটে প্রচুর লোকে ভীড় থাকলেও সেই অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না।এক দিকে করোনা অন্যদিকে এবারের বন্যায় বাড়িঘর, ফসল ও পুকুর ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।এ কারনে সাধারন মানুষের মধ্যে এবার কোরবানী ঈদের আনন্দ নেই।এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা না আসায় ছাগল বিক্রি বাড়ছে না।বারঘরিয়ার আফজাল বিক্রির জন্য দুটি ছাগল এনেছেন।তিনি জানালেন যে খাসী গত বছর ১৬-১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই সাইজের খাসী এখন ১০-১২ হাজার টাকা দাম বলছে।বজলুর রশিদ জানান,এবার বন্যার পানি যে হারে বাড়ছে তাতে আমাদের পরিবার নিয়ে অন্যত্র আশ্রায় নিতে হবে।এ জন্য বাজারে যে দাম হোক কোরবানীর ছাগল বিক্রি করতেই হবে।

শাখাঁড়ীপাড়র রফাত আলী জানান,বাজারে অনেক লোকে ভীর থাকলেও ক্রেতা ও পাইকার কম তাই ভালো দাম বলছে না।তাই খাসী বাড়িতে ফেরত নিয়ে যেতে হবে।ক্রেতা সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন,এ হাটে ক্রেতা পাইকারের চেয়ে দালালের সংখ্যা বেশি।কোরবানীর ছাগলের দাম কম হলেও সে সুবিধা সাধারন ক্রেতারা পাচ্ছে না। করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে হাট পরিদর্শনে আসেন ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন।এ সময় কোরবানীর খাসির খাজনা বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিক তিনি হাট ইজারদারের এক হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।এছাড়া হাটে কোরবানীর ছাগল অসুস্থ্য হলে তা চিকিৎসা দিতে পশু সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসক ও জাল টাকা শনাক্ত করতে ব্যাংকের জাল টাকা শনাক্ত মেশিন বসানো হয়েছে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের সিংড়ায় দৈনিক যায়যায়দিনের বর্ষপুর্তি পালন
পরবর্তী নিবন্ধসিংড়া উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে