নাটোরের বড়াইগ্রামে এই প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে সফল তরমুজ চাষ

0
1650

বড়াইগ্রামে এই প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ।

নাহিদুল ইসলামঃপরিবেশবান্ধব ‘মালচিং পদ্ধতি’ ব্যবহার করে তরমুজ উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে নাটোরের বড়াইগ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম। সাধারণ পদ্ধতিতে তরমুজের ফলন বছরে একবার হয়ে থাকে। তবে এই পদ্ধতিতে বছরের যেকোনও সময় একাধিকবার এই তরমুজ উৎপাদন করা যায়।

বড়াইগ্রামের আগ্রান এলাকার সাইফুল জানান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রথম এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি তরমুজ উৎপাদন করতে উৎসাহিত হয়।

প্রচলিত পদ্ধতিতে তরমুজের বীজ সরাসরি জমিতে লাগানো হয়। কিন্তু এ পদ্ধতিতে প্রথমে মালচিং পলিথিন দিয়ে একটি বীজতলা নির্মাণ করা হয়। এরপর তরমুজের বীজ সেখানে স্থাপন করা হয়।

যেহেতু বীজগুলো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো থাকে, তাই কোনও কীট-পতঙ্গ আক্রমণ করতে পারে না। ফলে কীটনাশক ব্যবহারেরও প্রয়োজন হয় না।
সাইফুল বলেন, ‘এবছর আমি মাত্র ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ব্লাক বেরি জাতের তরমুজের চাষ করেছি। ৫০ দিনের মধ্যে আমার জমিতে ২৫শ গাছে প্রচুর তরমুজ ফলেছে।
‘মালচিং পদ্ধতি’তে উৎপাদিত তরমুজ পিস হিসেবে নয়, কেজি দরে বিক্রি হওয়ায় দামটা একটু বেশি। প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে বিক্রি হবে বলে আশা করেন তিনি।
সাধারনত তরমুজ বছরে একবার হলেও এই পদ্ধতিতে বছরে কয়েকবার চাষ করা যায়।তিন মাসের এই ফলনে ২বিঘা জমি থেকে প্রায় লাখ তিনেক টাকা আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
তিনি জানান, তার দেখাদেখি এলাকার বেকার যুবকরাও সহজেই মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের আবাদ করে সাবলম্বি হতে পারে।
বাংলাদেশের কোন কোন জায়গায় মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ আবাদ হলেও নাটোরে এই প্রথমবারের মতো আবাদ হলো।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ জানান -আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। সাইফুলের তরমুজ চাষের ফলন ভালো হলে আগামীতে এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ বড়াইগ্রামে আরো সম্প্রসারিত করা হবে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধকবিতার জন্ম -কবি দেবাশীষ সরকার‘এর কবিতা
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরের সিংড়ায় পুত্রবধূর নির্যাতনের শাশুড়ির আত্মহত্যা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে