নাটোরের সিংড়ায় ধর্মীও প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

0
370
সিংড়া

সিংড়া প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ার ইটালী ইউনিয়নের বুড়ি কদমা গ্রামের মোস্তফা ও আঃ মান্নান কর্র্তৃক ধর্মীও প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল, টাকা আত্নসাৎ ও মিথ্যা মামলায় সাধারন মানুষকে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন, বুড়ি কদমা গ্রাম সহ এলাকাবাসী।

শনিবার দুপুরে বুড়ি কদমা গ্রামের রাস্তার দুই পাশে অনুষ্ঠিত দুই শতাধিক নারী পুরুষ এই মানববন্ধন কর্মসুচীতে অংশ নেন। বক্তব্য দেন ওই গ্রামের মসজিদ কমিটির সভাপতি হামিদুল ইসলাম,ঈদগাহ মাঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান,কবরস্থান কমিটির সাধারন সম্পাদক আনছার আলী,মামলার ভুক্তভোগী রনি মন্ডলের স্ত্রী ছাবিনা খাতুন সহ অন্যরা। বক্তারা বলেন,আমাদের এই ছোট গ্রামে মান্নান মোস্তফার নেতৃত্বে গ্রাম চলত।

কিন্তু তাদের নানান অনিয়ম দুর্নীতি করায় পুরো গ্রামের সাধারন মানুষ আজ তাদের দুর্নীতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। গ্রামের মসজিদের ক্যশিয়ারের দায়িত্বে থাকা আঃ মান্নান মসজিদের টাকা আত্নসাৎ করেছে তার হিসাব চাইলে দেয়না। মসজিদের কাজে ব্যবহার করা রং নিয়ে নিজের বাড়ির কাজে লাগিয়েছে। গ্রামের ঈদগাহ মাঠ,মসজিদ ও কবরস্থানের জায়গা জমিদারের ২নং খাস হওয়ায় নিজের নামে পত্তন দলিল করে দখল করেছে ওই আঃ মান্নান ও গোলাম মোস্তফা।

বক্তারা আরও বলেন ৮ মাস আগে সিংড়া থানায় এক বৈঠকে ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ঈদগাহের জায়গা ছেড়ে দেন আঃ মান্নান ও গোলাম মোস্তফা। কিন্তু এখন পুনরায় তারা ওই জায়গার দলিল আছে দাবি করে ভোগ দখলের চেষ্টায় গ্রামের সাধারন মানুষকে হুমকি দিচ্ছে। তাদের এসব দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবাদ করায় গ্রামের নিরহ যুবক রনি মন্ডল,হাবিল,হামিদুল ও উজ্জলকে আসামী করে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করছে। এই মামলায় ২ জন জামিন পেলেও রনি মন্ডল এখনও জেলহাজতে বন্ধী।

মামলার ভুক্তভোগী আসামী রনি মন্ডলের স্ত্রী ছাবিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী গ্রামের পক্ষে থেকে ধর্মীও জায়গা দখলের প্রতিবাদ করায় মামলার আসামী হয়ে এখনও হাজত খাটছে। এতে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। বক্তব্য শেষে ভুমিদস্যু গোলাম মোস্তফা ও মান্নানের কবল থেকে গ্রামের ধর্মীও জায়গা উদ্ধার সহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করে গ্রামবাসী।

এবিষয়ে জানতে জানতে চাইলে আঃ মান্নান বলেন, মাঠের জায়গায় বাঁধা দেই নাই। মসজিদের টাকা আত্নসাৎ করার বিষয়টি মিথ্যা। মসজিদের কাজ শেষে রং বেচে গেলে নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে ৫০০ টাকা দাম ধরে আমার বাড়ির কাজে লাগিয়েছি। মামলার বিষয়ে আমি বাদী নই। আমার ভাই মোতালেবকে মারধর করায় তাঁর স্ত্রী রুহিলা বেগম বাদী হয়ে মামলা করে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের মেধাবী সোহান, দারিদ্রতা বাধা হতে পারেনি, প্রাণীবিদ্যায় দেশে প্রথম। প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরে ২১৩৪ নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর অনুদান

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে