নাটোরে আজ বৃহস্পতিবার ৮ জন করোনা আক্রান্ত, জেলায় মোট ১৫৬ জন

0
932
নাটোর করোনা আপডেট

নাটোরকন্ঠ: নাটোরে আজ ৮ জন করোনা আক্রান্ত (সনাক্ত) হয়েছে। সিংড়া থানায় ৫ জন ও নাটোর সদরে রয়েছে ৩ জন। এ নিয়ে নাটোর জেলায় আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৬ জনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

করোনার আ্রগাসনে নাটোর, ভয়াবহ অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । ক্রামাগত করোনা নতুন নতুন সংক্রমনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। সকলের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। গত ১৮ জুন পর্যন্ত করোনা মোট আক্রান্ত ছিল ১০৩ জন পর্যন্ত। এরপর মাত্র কয়েকদিনের ব্যাবধানে এ সংখ্যা বেড়ে মোট আক্রান্ত দাড়িয়েছে ১৫৬ জনে।এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৪ জন। এখন প্রায় প্রতিদিনই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ভয়াবহভাবে। প্রায় প্রতিদিনিই থাকছে করোনা পজেটিভের নতুন নতুন খবর ।

সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল প্রথমে ৮জনের করোনা শনাক্ত হয় নাটোরে। এই ৮ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুর পরে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর থেকে বাড়তেই থাকে সংখ্যা। গত ২৮ এপ্রিল থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ৪৩ দিনে করোনায় আক্রান্ত হন ৭১ জন। এরপর ১৭ জুন থেকে ১১ দিনে এস সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুনের ও বেশী ১৪৮ জন শানক্ত হয়। । গাণিতিক হারে এই বৃদ্ধির হার বিপজ্জনক। এই হারে (কোভিড-১৯ ) করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে নাটোরে নেমে আসবে ভয়াবহ বিপর্যয়। যেটা পার্শবর্তী বগুড়া জেলাকে গ্রাস করেছে । সুতরায় সাবধানতা এবং সতর্কতার সাথে আমাদের প্রত্যকের চলা ফেরা করার বিকল্প নেই । সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৯ এপ্রিল ২৭ জন ২০ এপ্রিল ৮জন এবং ২১ এপ্রিল ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হন। সব থেকে দুঃখ জনক গত তিনদিনে ২ শিশু করোনায় আ্রকান্ত হয়েছেন। বাদ যাননি স্বামী স্ত্রী ভাই ও সন্তান। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। আক্রান্তের তালিকায় সরকারী কর্মকর্তা, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মি ,ব্যাংক কর্মকর্তা, গৃহিনীসহ সাধারণ মানুষ রয়েছেন। ফলে সবার ভিতরে বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক।

সচেতন মহল করোনা আক্রন্তের কারণে ভীত না হয়ে নিয়ম কানুন মেনে চলা প্রয়োজন বলে মনে করছেন । করোনার আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাওয়ার একটাই উপায় তা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি পালন এবং সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা। অপরদিকে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করা। একই সাথে প্রয়োজন রয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির হোম আইসলেশান নিশ্চিত করা। আ্রকান্ত ব্যক্তি যেন বাড়ি থেকে বের না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। তাহলে আ্রক্রান্তের পরিমাণ কমে আসবে বলে মনে করছেন সকলে। না হলে যথেচ্ছচার চলা ফেরা স্বাস্থ্য বিধি এবং সামাজিক দুরত্ব না মানলে ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে শহরবাসীকে।

নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান বলেন, শহর , গ্রাম. বাজার যে এলাকায় আক্রান্ত হন না কেন তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে। একই সাথে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অহতেুক বাইরে না থেকে কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার  পরামর্শ দেন তিনি।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধবাগাতিপাড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই সাইকেল বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধবনপাড়া পৌরসভায় বাড়তি করারোপ ছাড়াই ২০-২১ অর্থবছরের ৪৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে