পথের স্বভাব অথবা সম্পর্কের লাশ
কবি আজাদুুর রহমান
পথ একটা ঘোর, এর কোন বিভাগ নেই,
যে কোন পথের উপর দাঁড়ালেই হবে,
হয় আপনি হাঁটবেন, নয়ত পথটাই
পায়ের তলা থেকে সরে সরে যাবে।
প্রত্যেকটা পথের ভাটি হচ্ছে
আপনার গ্রামের বাড়ি।
এমন না যে,
ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম বা সুদুর সন্দীপে
আর কোন গ্রাম নেই!
সবখানেই গ্রাম আছে , কিন্তু
পথের উপর দাঁড়ালেই সে নদী হয়ে যাবে,
তারপর ভাসতে ভাসতে আপনাকে নিয়ে যাবে নাড়িপোঁতা স্টেশনে।
আপনি তাই ঘোরের মধ্যেই বাসে উঠে বসবেন
রেলের টিকেট কেটে অপেক্ষা করবেন,
জানালার পাশে হাত নাড়বেন।
ঝাঁউবন জোনাকি, আবাদি জমি, মেঠোপথ..
সিরিয়ালের পর সিরিয়াল,
এক এক করে পার হয়ে গেলে
পাখি, প্রজাপতি ডুবসাঁতার আর
জাহাজভর্তি অঝোর বৃষ্টি মাথায়
ডুবে যাবেন আপনি।
এমন না যে,
ফুল হাতে কেউ অপেক্ষা করে আছে,
আপনাকে বরণ করবে এমন লোকজন
ভিড় করে জেগে আছে রাত্রী জুড়ে
তারপরও আপনি মাছেদের মন নিয়ে
ভেসে ভেসে যেতে থাকবেন! তারপর
যখন আপনি বাড়ি ফেরেন, তখন হয়ত মাঝরাত
কেউ নেই, শুধু
পড়ে আছে শত শত সম্পর্কের লাশ।
না নদী, না বন্ধু, না কোন স্বজন-কেউ নেই
বহু বছর ধরে তবুও এভাবে আপনি
ঘোরের মধ্যে বাড়ি ফিরতেই থাকবেন,
পথের উপর দাঁড়ালেই
সে আপনাকে নিয়ে চলে যাবে গ্রামের বাড়িতে।