বাগাতিপাড়ায় আবারো অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ

0
436
ওভিযোগ

সেলিম রেজা, বাগাতিপাড়া,নাটোর প্রতিনিধি :

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় আবারও অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে আল আমিন নামে একজনের ব্যাবসীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১২মে) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাগাতিপাড়া ইউনিয়নের জিগরী গ্রামে। গবাদি পশুটি অসুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আলমগীর। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার জিগরী গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে ভুষিমাল ব্যবসায়ী আল আমিনের একটি গরু বেশ কিছুদিন থেকেই অসুস্থ ছিলো।

স্থানীয় চিকিৎসক পশুটিকে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে। গরুর মালিক আলামিন জেনেশুনেই এমন গরু জবাই করে এলাকায় প্রতি কেজি মাংস ৩’শ টাকা করে বিক্রি করে। অথচ বিধিনিষেধ রয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনোনীত ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোন পশু জবাই বা মাংস বিক্রি করা যাবে না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সকলেই যখন জনসচেতনতায় ব্যস্ত, এসময় অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রি করাটাকে বড় ধরনের অপরাধ বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। এঘটনাটি স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে জানালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মাংস পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

গরুটি অসুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আলমগীর বলেন, কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই গরুটি অসুস্থ অবস্থাতেই জবাই করা হয়েছে এটা নিশ্চিত। আমার দপ্তরের দু’জন ডাক্তার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কিন্তু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ওই অসুস্থ গরুর আংশিক মাংস জব্দ করা হয়েছে দাবি করলেও সরোজমিনে গিয়ে তা পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান পশুকে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করার কমপক্ষে ৩০দিনের মধ্যে মাংস খাওয়া মানব মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

এব্যাপারে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, ঘটনাটি আমি জানি। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিবৃতি পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। বারংবার এমন ঘটনা ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর বাগাতিপাড়া উপজেলা কমিটির সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম তপু। তিনি বলেন, বিষয়টি খুব হতাশা জনক। এরুপ ঘটনা উপজেলাতে আগেও ঘটেছে। সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে ক্রেতার জীবন বিপন্ন হতে পারে এমন কোন কাজ করা অপরাধ। ভোক্ত- অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এ স্পষ্ট দন্ডের বিধান থাকলেও তার প্রয়োগ না হওয়ায় একই অপরাধ বারবার হচ্ছে। অপরাধীরা ভয় না পেয়ে উৎসাহ পাচ্ছে। তাই এ সকল অপরাধকে ছোট করে না দেখে সংশ্লিষ্টদের অাইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করা উচিৎ বলে মনে করা হয়।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মরদেহ পুলিশের উদ্যোগে দাফন
পরবর্তী নিবন্ধসিংড়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, জুতা পেটা করে মিমাংসা ???!!!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে