বড়াইগ্রাম, নাটোরকন্ঠ:
বড়াইগ্রামে ৬ মাসের শিশু সন্তান রেখে হাফিজা (২০) নামের এক গৃহবধু গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর বাড়ির সদস্যদের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও, পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবীবাবার বাবার। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আটোয়া রাখুর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাফিজা একই গ্রামের হাসান মাসুদের স্ত্রী এবং মমিন উদ্দিনের মেয়ে।
হাফিজার স্বামীর বাড়ির সদস্যদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পারিবারিক অশান্তির কারণে হাফিজা নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করলে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে দেখতে পায়। পরে অন্য ঘরের দেয়াল টপকে তাকে উদ্ধার করে বনপাড়া আমিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
অন্যদিকে হাফিজার বাবা মমিন উদ্দিন এবং ভাই রায়হান এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করেন। হাফিজার পিতা মমিন উদ্দিন বলেন- আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করে তার স্বামী। গতকালও আমরা খবর পেয়েছি, কিন্তু রাতে নির্যাতন করে সকালে জোর করে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে ।
মৃতের ভাই রায়হান বলেন- আমার বোনকে দেখার জন্য এ্যাম্বুলেন্স এর কাছে গেলে আমার ভগ্নিপতি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, আমার বোনের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি, তার মুখ চেপে ধরে রাখা ছিল। মৃত্যুর আগে আমার বোন আমাকে কিছু বলতে চেয়েছিল।
ঘটনার খরব পেয়ে বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ওসি(তদন্ত) আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে আসেন এবং পরবর্তীতে বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর মর্গে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন- ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এবং তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে ঘটনার পর থেকে হাফিজার স্বামী হাসানসহ পরিবারের সবাই পলাতক ছিল।