মানবিক ধর্ম
কবি নাজনীন নাহার
চারিদিকে দূর্গা উৎসব পূজা পার্বণ মেলা,
ঢাকের বাড়ি ঢোল মাদলে সরব সারা বেলা।
যদিও ধর্ম বুঝে কর্ম করে মানব জাতি সকল,
বিশ্বাসে সব মত্ত থেকেও খোঁজে আসল নকল।
মন্দিরের ওই আশেপাশে অভাবি মানুষ যারা,
হুমড়ি খেয়ে পড়ে সকল প্রসাদ পেতে তারা।
কে-বা হিন্দু, কে-বা মুসলিম, কে-বা খ্রিষ্টান, বুদ্ধা,
ধর্মের চেয়ে শক্তিশালী হলো দারিদ্র আর ক্ষুধা।
পেটের ক্ষুধা পরম ধর্ম পেট পূজাতে ভজে,
আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবানে বিচ্ছেদটা যায় ভুলে।
মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, মঠ আর যত উপাসনালয়,
ক্ষুধার্ত পেট ধর্ম ভুলে তাই খাবার খুঁজে লয়।
ওহে মানুষ ওহে বেভুল ওহে ধর্ম শাসক,
পেটের ক্ষুধা করবে শাসন এমন নিয়ম আসুক।
অনাহারী পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়ার কামড়,
ধর্মযাজক,রাষ্ট্র নায়ক খেয়েছে কি সেই চামার!
তাইতো তারা ধর্মগুরু করে ধর্ম নিয়ে বড়াই,
চড়ে দেখো একবার গুরু ক্ষুধার তপ্ত কড়াই।
মানুষ মাঝে বাঁচো সবাই মানুষ ভজো ভবে,
সকল ধর্মের বড়ো ধর্ম মানবিক ধর্ম ধরো সবে।