তাহমিনা শিখা : মেহেদি পরতে ভীষণ ভালোবাসতাম, এখনও বাসি। ছোটবেলায় হাতে মেহেদির রঙ মুছে যাওয়ার আগেই আমার নতুন করে আবার মেহেদি দেওয়া চাই। মেহেদি পাতা বেটে টুথপিক দিয়ে অনেক সময় নিয়ে মেহেদি ডিজাইন করে পরা হতো তখন। তার আগে মেহেদির সেই রঙ যেনো গাঢ় হয় তার জন্যে ছিলো কত কী প্রস্তুতি! আহা..কী নজরকাড়া সেই রঙ!
‘হলদি বাটো, মেন্দি বাটো, বাটো ফুলের মৌ, বিয়ের সাজে সাজবে কন্যা…’ এখন আর বিয়েতে কষ্ট করে কেউ বর-বউয়ের দু-হাত রাঙানোর জন্য মেহেদি বাটে না, এখন মেহেদি রেডিমেইড পাওয়া যায়। তবে কৃত্রিম মেহেদিতে যেমন আমাদের সময় বাঁচে, সুন্দর ডিজাইন করা যায়, রঙেও আনা যায় ভিন্নতা, সেই সাথে এলার্জি থেকে অনেকের ত্বকে হয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন।
প্রাকৃতিক মেহেদি শুধু হাত রাঙানোর সামগ্রী হিসেবে নয়, বরং এটি চুলের যত্নেও সেরা উপাদান। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি, চুল বড় করার জন্য এবং তার পাশাপাশি মাথা ঠাণ্ডা রাখতেও বেশ কার্যকরী। মেহেদির ফুল, ফল, পাতা, মূল সবই বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মেহেদি গাছের ফুল, পাতা, ফল সবই কী সুন্দর দেখতে! যারা মেহেদির ফুল দেখেননি, কিংবা দেখলেও এর সৌন্দর্য উপলব্ধি করেন নি, আজকের ছবিটি তাঁদের জন্যে।
সুত্র : বৃক্ষকথা
লেখক : জনাব তাহমিনা শিখা, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ।
২০ মে, ২০১৯