লালপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে বসন্তপুর বদ্ধ খাল অবমুক্ত, খাল পুনঃ খননের দাবী
বিশেষ প্রতিবেদক, নাটোর কণ্ঠ:
লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে বসন্তপুর বিলের বদ্ধ খাল অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোদাল নিয়ে স্থানীয় হাজার হাজার জনতা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী পুকুরের পাড় কেটে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করে। এতে সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের ক্ষেত্রে রয়েছে চরম সংশয়। খালটি সরকারী ভাবে খননে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন এলাকার জনগন।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, বসন্তপুরের খাল বন্ধ করে পুকুর কাটার ফলে বৃষ্টির পানি জমে গত কয়েক মাস ধরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছে লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। বার বার খাল পুনঃ খননের জন্য কমিটি গঠন করা হলেও পুকুর মালিকদের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
পরে গত ২৭ জুলাই পানিবন্দী মানুষদের দেখতে আসেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। এসময় তিনি দ্রুত খাল দখলকারী পুকুর মালিকদের মাছ তুলে নিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। এবং এ বিষয়ে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আলম মক্কেলকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু বিষয়টিতে কোনো কাজ হয়নি।
পরে স্থানীয় সাংসদের ২ জন প্রতিনিধি, ৫ জন পুকুর মালিক ও এলাকার ৫ জন গন্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে ১২ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি করা হয়। সেখানেও সাবেক চেয়ারম্যান ও তার দু ছেলের পুকুর বাচানোর চেষ্টায় পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়া ভন্ডুল হয়ে যায়।
এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় জমে থাকা পানিতে ডুবে মারা গেছে ইউনিয়নের মনিহারপুর গ্রামের মুন্নার শিশু কন্যা মুন্নী (৫)। এতে টনক নড়ে প্রশাসনের যার ফলে নকশা অনুযায়ী খাল কেটে পানি নিষ্কাশনের জন্য রোববার (২৩ আগস্ট) মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি। নির্বাহী অফিসারের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজারো জনতা তার উপস্থিতিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, আগামী শুকনো মৌসুমে খালটি পুনঃ খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।