সকাল কত দূর
কবি সুপ্তি জামান
আমার শূণ্য ঘর, শূণ্য শয়ন শয্যা
নিজেরে মনে হয় অশরিরী
ভয় ডরহীন এক সত্তা-
মশাদের আনাগোনা দেখে
মনে পড়ে আমি মৃত নই,
জীবিত!
কোভিড-১৯ এর মতো মশাও
মৃতদের অপছন্দ করে কিনা!
ধমনি শিরায় রক্তের উন্মাদনার
ছুটি হলে কেউ আর ভালবাসে না
মৃত মানুষ কেমন অবাঞ্ছিত হয়ে যায়
মশাদের কাছেও!
নিষুতি রাতে কে হাঁটে বাতাসের বুকে
পা টিপে টিপে!
জানালার পর্দা ঠেলে উঁকি দিয়ে দেখে
একলা ঘরে কেমন আছি আমি।
সাইবেরিয়ার তুষারে ঢেকে যায় সোফা,
ডাইনিং টেবিল সহ সকল খাদ্যবস্তু
আমি খাওয়ার উপযোগী কিছু খুঁজে পাই না
ডর ভয়ে শঙ্কুচিত হয়ে আশ্রয় নেই শয্যায়,
পরিবর্তিত হয়ে যাই অশরিরী এক প্রতাত্মায়
অমন খাঁ খাঁ করা দুরুহ শূণ্যতাকে
ফাঁকি দিয়ে স্বপ্নের পথে পা বাড়াই
স্বপন-ডোরে বাঁধতে পারি না তারে
অনেক স্বপ্ন ঝড়ে গেলে সে আসে
স্বপন মঝেও নিশঙ্কো চিত্তে তাকাতে পারি না
তোমা পানে
তোমায় আমি ছুঁতে পারি না
আঙ্গুলের ফাঁক গলে তুমি
হারিয়ে যাও ফের নিরুদ্দেশে
তার চেয়ে ভালো স্বপনে তুমি আর এস না।
মন পোড়ে
চোখ পোড়ে
আরো বেশি ব্যাথা বাড়ে!
আমি স্বপ্নেও অতিক্রম করতে পারি না সীমা
এক বুক তৃষ্ণা বুকে জেগে থাকি
এভাবেই অর্বুধ সংখ্যক প্রেতাত্মার জন্ম হয়।
নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে
এক শর শলাকায় হৃদপিন্ড
এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায়
আমি স্বপন মাঝে ফালা ফালা হয়ে যাই
টুটে যাওয়া মালিকার পুতির মতো-
ঝরঝর করে ঝরে পড়ি।
আমার একলা ঘর কাঁপে থর্থর
ঘুমজড়ানো চোখ খুলে তাকিয়ে থাকি,
ভাবি বসে
সকাল কত দূর!