রাজু আহমেদ, নাটোরকন্ঠ সিংড়া : মেসার্স দুবাই এন্টার প্রাইজ এর সাথে সিংড়া উপজেলার কালিগন্জ বাজারে ব্যবসার প্রয়োজনে সহোদর আ: রহমানের জামিনদাতা হিসেবে সাদা চেক জমা দিয়ে প্রতারক চক্রের দ্বারা লিগ্যাল নোটিশ পান শিক্ষক আব্দুর রউফ। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তোলপার। লিগ্যাল নোটিশের এর প্রেরক উপজেলার গলগলিয়া গ্রামের শহীদুল ইসলাম কে কখনো দেখেননি, চেনেননি আব্দুর রউফ।
আব্দুর রউফ জানান, আমি ছাতারদিঘী ইউনিয়নের দামকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং আত্রাই থানার বাঁকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ধর্মীয় শিক্ষক। জামিনদাতা হিসেবে ২০১৬ সালে বেপারি ট্রেডার্স এর ব্যবসা শুরু করেন আমার ভাই আব্দুর রহমান। ২০১৮ সালের ১ লা জুন ব্যবসার প্রয়োজনে জনতা ব্যাংক আত্রাই শাখার আমার হিসাব নং বরাবর সাদা চেক প্রদান করা হয়।
২০২০ সালে করোনার কারনে ব্যবসার মন্দা ভাবে তাদের সাথে লেনদেন শেষ করার জন্য যাবতীয় কাগজ ফেরত চাইলে তারা গড়িমসি শুরু করে। পরবর্তীতে আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে একজন প্রতারকের মাধ্যমে চেক ডিসঅনার লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে। কিন্তু প্রেরককে আমি কখনো চিনতাম না।
মেসার্স দুবাই এন্টার প্রাইজ আমার সাথে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে এক পর্যায় ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে চেক টি ফেরত নেয়। তিনি আরো বলেন, চেকের মাধ্যমে অনেক মানুষ প্রতারনার শিকার হচ্ছে। আমি ৭৫ হাজার টাকা বাদেও আরো টাকা তাদের কাছে পাবো। এ বিষয়ে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
ছাতারদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রউফ বাদশা জানান, বিষয়টি আমি জানতাম। যেহেতু আমি কালিগন্জ বাজারে ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি করি। বেপারি ট্রেডার্স কে অহেতুক ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যা মোটে ও কাম্য নয়।
অভিযুক্ত দুবাই এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটর তীর্থ সুনিল রুদ্র জানান, এ বিষয়ে চেক ফেরত দেয়ার বিনিময়ে ৭৫ হাজার টাকা আমরা নিয়েছি। যেহেতু ব্যবসা করবো, সে জন্য নতুন করে ঝামেলায় জড়াতে চাইনা।