নাটোর কণ্ঠ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান । এরইমধ্যে আবহাওয়া বিভাগ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে।
এছাড়া দশ নম্বর সংকেতের আওতায় থাকবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর। এদিকে যে জেলাগুলোতেও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে সে জেলাগুলো হচ্ছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর।
এদিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ০৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে সাগর উত্তাল রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি মাত্রায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। বাংলাদেশ সময় রাত দশটা পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
সরকার বিশ লাখ মানুষকে ১২,০৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেবার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তবে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।