অনাদি অনন্ত উড়িয়ে দিও না হেসে || ওয়াহিদ জালাল
রাত এখন এক শ্রমিকের মতো ক্লান্ত হয়ে
চোখের উপর বসতে চাইছে,
আমি যে দোয়া আকাশের দিকে প্রেরণ করেছিলাম
সে ছহিছালামতে ফিরে এসে আমাকেই খুঁজছে !
ইঙ্গিত সচেতন হলে সাধনায় শক্তি লাভ করে জেনে
নিজের দুয়ারে সর্বপ্রথম নিজেই ডাক দিয়েছি
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর সেই একাই বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে।
যে প্রয়াস প্রশংসার দাবি রাখে
তার মিলন তীব্র আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সরলতার কোমল আসনে
কাননের জুঁই নয় আকাশের চাঁদ হাসে,
জগতের তেপান্তরে আমি সকাম ও নিস্কাম নিয়ে
নিজের বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে চাইনি,
কালের অনিন্দ্য সুন্দর প্রেমের উন্মেষ ভিন্ন,
মুক্তির পথ অন্ধকার ও বন্ধুর।
আমার ছুটে চলা আরো দীর্ঘ হয়,বিধবার আশার মতো দীর্ঘ।
সবক জিজ্ঞসা হলে বুকের ভেতর কালের ফসল জন্মে বলে
মহাজনের প্রশ্ন হয় ইতিহাস, দৃষ্টির অন্তরালে
আদিঅন্তের খেয়াল একান্ত সেবক ডাক দিয়ে বলে,
খেলনার দোকানের পাশ দিয়ে তুমি কেন যাও?
এগুলো শিশুদের মনের আশা লটকে রাখে,
এখানে সমঝোতার প্রশ্নই আসে না।
মনে রেখো ওয়াহিদ,অনাদি অনন্ত উড়িয়ে দিও না হেসে।
২৯.০৯.২০২০
মানচেষ্টার, ইংল্যান্ড