পলি শাহীনা : দুপুর যখন ক্লান্তিতে এলিয়ে পড়েছে বিকেল তখন লাল শাড়ী অঙ্গে জড়িয়ে অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়ে প্রকৃতির বুকে হেলেদুলে আমার কপাল ছুঁয়েছে। বিকেল আমার প্রিয়জন। বিকেলের অপেক্ষায় আমি পথ চেয়ে থাকি। বিকেলের শীতল স্পর্শ আমাকে সুখ দেয়। বিকেলের আগমনে প্রাণ আনন্দে দিশেহারা। তার মৃদু সুরভী গায়ে জড়িয়ে কিছু সময় পুকুরের শান্ত জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকি।
জলের মায়াময় ছোঁয়া আর প্রিয়তম বিকেলের আস্কারায় মস্তিষ্কে ঘুমিয়ে থাকা আমার সুপ্ত ইচ্ছে আচমকা তীব্রভাবে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠে। যেন এই মুহূর্তে ইচ্ছে পূর্ণতা না পেলে জীবন আমার বৃথা হয়ে যাবে। ইচ্ছানুসারে কলা গাছের ভেলায় চেপে চলে যাই পুকুরের মাঝখানে, মেঘ মুক্ত গগনে প্রকৃতির কোলে। সবুজ মুকুট পরা প্রকৃতির খোলা আকাশের নিচে জলের উপর, মুক্ত শীতল বাতাসে আমি ভাসছি কলা গাছের ভেলায়।
প্রাণভরে শ্বাস নিচ্ছি। আহা শান্তি! মুগ্ধতা আমাকে অক্টোপাসের মতো আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। আমি এবং প্রকৃতি, অন্য কোন কোলাহল নেই। হাস-পাখি-মাছেদের সঙ্গে গল্প, খুনসুটিতে মেতে আছি। কলমি-শাপলা-হেলেঞ্চা- পানা ফুলেদের ভালোবাসা বুকের গহীনে জমা করছি। যে ভালোবাসা বুকের খুপরিতে আগলে রেখে আগামীকাল বিকেলের জন্য অপেক্ষা করবো।
পুকুরের স্বচ্ছ জলে মনের সুখে আমার হাসি মুখের প্রতিবিম্ব দেখছি। আলোকিত আকাশ, পাখীদের গান, শীতল বাতাস, ভ্রমরের গুঞ্জন, ফুলেদের সুভাসে মন ভালোলাগায় ডুবে আছে। পাশ ফিরে দেখি পদ্ম পাতার উপর বাসা বেঁধে জল ময়ুর নিশ্চিন্তে ডিমে তা দিচ্ছে। দূর আকাশ থেকে নেমে এসে ঈগল আমার গা ঘেঁষে অপেক্ষা করছে খাবারের জন্য। প্রকৃতি আর আমি মিলেমিশে একাকার।
জলের অতল হতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছেদের ঘাই, জলের উপরিভাগে গোলাপ হয়ে ফুটছে। বিকেলের আলো ধূসর হয়ে আসতেই দূর অরণ্য হতে শিয়ালের ডাক এসে কানে লাগছে। ‘আনন্দ ধারা বহিছে ভূবনে, দিন রজনি কত অমৃত রস উথলি যায় অনন্ত গগনে’ – গলা ছেড়ে আমি রবীন্দ্রনাথের গান ধরেছি, গান শেষ না হতেই এম্বুলেন্সের বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।
চোখ মেলে দেখি সকাল পেরিয়ে দুপুরের সোনালি আলো জানালার পর্দা ভেদ করে রুমের আনাচ-কানাচে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ঝকঝকে আলোর তীব্রতায় মধু মাখা দিবা স্বপ্ন থেকে দূরে ছিটকে পড়ে কিছু সময় আমি থরথর করে কাঁপতে থাকি। স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় বুকে হাহাকার জাগে। কোথায় গলা গাছের ভেলা! পুকুরের শান্ত জল! জল ময়ুর! ঈগল! খোলা আকাশ!
পাখীদের গান! পানি ফুল! ভ্রমরের গুঞ্জন! মাছেদের ঘাই! সবুজ বৃক্ষ- শীতল বাতাস! আমি তো শুয়ে আছি নিউইয়র্ক শহরে ইট- সুরকি ঘেরা এক বদ্ধ ঘরে। যেখানে চারদিকে শুধু দেয়াল আর দেয়ালের ঠাসাঠাসি ভীড়। বাতাসে মন কেমন করা উদাস কান্নার সুর। রোজকার মত নিয়ম করে সূর্য উঠলেও এই মধ্য দুপুরে করোনা ভাইরাস আতংকে মানুষ এবং শহর ঘুমিয়ে আছে ভয়ে।
জগতের সবচেয়ে সহজ কাজ উপদেশ দেয়া আর কঠিন কাজ হলো উপদেশ মেনে চলা। এই করোনা কালে সহজ কাজটি ভালোভাবে করলেও কঠিন কাজটি একদম পালন করছিনা। করোনা ভাইরাসের তান্ডব হতে রক্ষা পেতে ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাস, এবং পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য কাছের মানুষদেরকে তাগাদা দিলেও, নিজে সঠিকভাবে মানছিনা। ফলস্বরূপ এই ভরদুপুরে গৃহবন্দি জীবনে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখছিলাম।
দেশ ছেড়ে হাজার হাজার মাইল দূরের শহর নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করলেও, আমার অনুভূতির ভাঁজে ভাঁজে বাংলাদেশের সবুজ রঙ -রুপ- গন্ধ মিশে আছে। এই শহরের মাঠ-ঘাট- বন পেরিয়ে দিবারাত্রি দেশ আমাকে হাতছানি দিয়ে ডেকে চলে। মানুষ যা ভাবে তা-ই স্বপ্নে দেখে। আমার ভাবনার গোটা উঠোনজুড়ে বাংলাদেশ, সবসময় স্বপ্নে ছুটে ছুটে আসে।
সদ্য দেখা স্বপ্নের নীল মায়া শরীরে জড়িয়ে চা হাতে বাইরের রুপা গলা পৃথিবী দেখছি। আমার বাসার সামনে, বাসার বিপরীতে, চতুর্দিকে আগে অনেক গাছগাছালি ছিল। গ্রীষ্মের দিনে এগুলোকে আমি বলতাম ছায়াগাছ। এদের ছায়া উপভোগ করতাম, স্বপ্ন দেখতাম, ওদের ঘ্রাণে ভালোবাসতাম। কবিতা লিখতাম, গলা ছেড়ে গাইতাম। গাছেদের ছায়া আমাকে গভীর মায়ায় জড়িয়ে রাখতো। কোন কারণ ছাড়া ওদের ছুঁয়ে দিতাম, শান্তি পেতাম।
ওদের পরশে প্রাণভরে শ্বাস নিতাম। সে গাছগুলো এখন আর নেই, কেটে ফেলা হয়েছে। কারণ, গাছের শিকড়, ডালপালা নাকি বাড়ীর অনেক অনিষ্ট করে, পানির লাইন, সুয়ারেজ লাইন ভেঙে ফেলে। গাছ কাটতে আসা ব্যক্তির কাছে জিজ্ঞেস করে এমনটাই জেনেছিলাম। প্রথম গাছটি নিধন হওয়ার দিন গাছ কাটা মেশিনের তীব্র শব্দ উপেক্ষা করে ভারী মনে অনেকক্ষণ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
গাছ কাটার পর ঝরে পড়া তরলকে ছোটবেলায় ‘কষ ‘ বলে জেনেছি। বড়বেলায় জেনেছি গাছের প্রান আছে এবং আঘাত পেলে তারা কাঁদে। সেদিন গাছটি হতে অনেক কষ ঝরেছিলো নাকি অনেক কান্না, জানিনা। গাছগুলোর ডালে পাখীর বাসা ছিল। এখন নেই। পাখী গুলো গৃহহীন হয়ে কোথায় গেছে তাও জানি না। অনেক না জানা নিয়েই বেঁচে আছি। এত জেনেই বা কি হবে, পাখীদের খবর জেনে আমি কি করবো – এসব বলে নিজের মন কে স্বান্তনা দিই নিজে।
যদিও খুব গোপনে বুকটা আজ হু হু করছে ওদের জন্য। ওরা হয়ত উচ্ছেদ হয়ে অন্য কোথাও গিয়ে বাসা বেঁধেছে। লাল ঠোঁটে কুড়িয়ে আনা খড়কুটো দিয়ে ওদের বাসা বাঁধবার দৃশ্যটি চোখের সামনে ভাসছে। স্বপ্নে দেখা পদ্ম পাতায় জল ময়ুরের বাসা বাঁধবার শৈল্পিক দৃশ্যটিও চোখের মণিতে ঘোরের সৃষ্টি করছে। শুনেছি এখন আর নাকি জল ময়ুর দেখা যায় না। ঈগল নির্ভয়ে খাবারের অন্বেষণে মানুষের গা ঘেঁষে আর বসে না। মাছেদের ঘাই তেমন নজরে পড়ে না।
কয়েকবছর আগে দেশে গিয়ে দেখেছিলাম পুকুর, খাল, বিল ভরাট করে মানুষ দালান তুলেছে। কোথাও একটু মাটি খুঁজে পেলাম না পায়ে, শরীরে মাখতে। আমি মানুষ হয়েও পদ্ম পাতা, মাটি, পুকুরের জল খুঁজে পাই নি, ওরা পাবে কোথায়! টিকে থাকবেই বা কিসে! এসব ভাবতে ভাবতে আমার হাঁসফাঁস লাগে। চোখ ঝাপ্সা হয়ে আসে। ঝাপ্সা চোখ যায় বাড়ীর আঙিনায়। কয়েকটা কাঠবিড়ালি খেলা করছে। কতদিন হলো ওদের খাবার দিই না। রান্নাঘর হতে কিছু পাউরুটি দিয়ে আসি ওদেরকে।
ওরা লেজ নাড়িয়ে নাড়িয়ে পাউরুটি খায়, আমার চারপাশে ঘুরে ঘুরে খেলতে থাকে। আগে আরো বেশি কাঠবিড়ালি ছিল। আজ দেখছি অল্প কয়েকটা। ওরাও হয়ত খাবারের খোঁজে অন্য কোথাও চলে গেছে। কাঠবিড়ালির সান্নিধ্যে দুপুরটা কিছুটা উপভোগ্য হলেও বাকি কাঠবিড়ালিদের কথা ভেবে মন খারাপ হতে লাগলো। মন অন্যদিকে ঘুরাতে পা বাড়াই নিত্যদিনের আনাজপাতির হিসেব কষা জীবনে।
সিএনএনের খবর চলছে। করোনায় ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে জীবন হারিয়েছে এক লক্ষ তিরিশ হাজার মানুষ। মনে পড়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা, শুরুর দিকে তিনি বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা এক লক্ষের মধ্যে রাখতে পারলেই তিনি সফল হবেন। আজ তিনি সফল নেতা নাকি একজন ব্যর্থ নেতা তাও জানি না। আমার মত অতি সাধারণ মানুষের জানায় কি-ই বা আসে যায়!
এক লক্ষ তিরিশ হাজার প্রাণের হিসেব কষতে কষতে অংকে আজীবন কাঁচা আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আমি আবারো হাঁপাতে থাকি। ইনহেলারে স্বস্তি পাই না। বুকে মরু ঝড় বইছে। আমি যেন তপ্ত বালুর উপর দিয়ে হাঁটছি আর এক লক্ষ তিরিশ হাজার সংখ্যাটির সঙ্গে আমার সংখ্যাটির কথাও ভাবছি। কানে ভেসে আসে ষোল বছর বয়সী সুইডিশ তরুণী গ্রেটা থানবার্গের কথাগুলো।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অবিলম্বে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতা, বিশ্ব নেতাদের কাছে যে কিশোরী মেয়েটি আহবান জানিয়েছিলো। ভূমন্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়টি একটি কিশোরী মনকে ভাবিয়ে তুললেও, বিশ্ব নেতারা ভ্রুক্ষেপহীন। করোনা ভাইরাস নাকি ভ্রুক্ষেপহীন ক্ষমতাধর বিশ্ব নেতারা – মানব প্রজাতির জন্য কোনটা বেশি ভয়ংকর, আপনমনে ভাবছি আর টেলিভিশনের খবর শুনছি ৷
করোনা ভাইরাসের ভয়ে মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের স্বাধীনতা হারালেও প্রকৃতি চলছে তার নিজস্ব নিয়মে। প্রকৃতি রঙ বদলাচ্ছে, গাছে গাছে ফুল এসেছে, দূর অরণ্যে পাখী ডাকছে, প্রজাপতি উড়ছে, কাঠবিড়ালি খেলছে, নদী বয়ে চলছে। মানুষ ঘরবন্দী কিন্তু প্রকৃতি নির্বিকার। ঠিক যেমন করে আমি নির্বিকার ছিলাম আমার ঘরের চারপাশের গাছগুলো কেটে ফেলার সময় ঠিক তেমনই নির্বিকার আজ প্রকৃতি।
মানুষ প্রকৃতিকে যেভাবে ভালোবাসবে, বিনিময়ে প্রকৃতিও তেমন ভালোবাসা ফিরিয়ে দিবে। যতটুকু ভালোবাসতে পারবো ততটুকু ভালোবাসা ফিরে পাবো। এটাই পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণের জন্য স্বাভাবিক নিয়ম। মানুষ যত বড়ই হোক তাতে চরাচরের কিছুই যায় আসে না। মানুষ তার পরিধির মধ্যে যতই নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবী করুক না কেনো, আসলে তাঁরা খুব ক্ষুদ্র। মানুষ জগতের অন্য সব প্রাণের মতোই একটি প্রাণ ছাড়া আর কিছু নয়।
আজ সেটি খুব ভালোভাবে প্রমাণিত। স্বঘোষিত ক্ষমতাবান মানুষ আজ অকোষীয় অনুজীবের ভয়ে একা, নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছে চার দেয়ালের মাঝে, যখন ক্ষুদ্র পিপড়াটিও নির্ভয়ে চরাচরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দুপুর গড়িয়ে নকশাআঁকা শহুরে বিকেল নামে। তবে এই বিকেল আমার স্বপ্নে দেখা প্রিয়তম বিকেলের মতো নরম, সবুজ না। একটি তপ্ত বিকেল নামে।
এই বিকেলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আমি একটা তৃষ্ণা অনুভব করছি। স্বাধীনতার তৃষ্ণা, শীতলতা -সবুজ বৃক্ষের তৃষ্ণা বোধ করছি। যে স্বাধীনতা আজ প্রকৃতির আছে কিন্তু আমার নেই। নীরবতায় মানুষ সবচেয়ে বেশি কথা বলে। কেটে ফেলা গাছগুলো, হারিয়ে যাওয়া পাখী, কাঠবিড়ালিগুলোর সঙ্গে একাকী নীরব আমি অনর্গল কথা বলছি।
বিকেল শেষে সন্ধ্যা আসে। আমি এগিয়ে যেতে থাকি অন্ধকারের দিকে।
আমি এবং অন্ধকার পাশাপাশি হাঁটছি। মানুষের কোলাহল কিংবা প্রিয় মানুষগুলো না থাকলেও সঙ্গে আছে প্রকৃতি। উদার প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে মাথা নত হয়ে আসে। প্রকৃতির এত ক্ষতি করেছি তবুও কি পরম আদরে জড়িয়ে রেখেছে। মহা প্রকৃতি আসলে মায়ের অন্য রুপ। সব ঝড়-ঝঞ্ঝা সয়েও বুকে আগলে রাখে ঠিক মায়ের মতো। এই মহামারি মানুষের অপূরণীয় ক্ষতি করলেও উপলব্ধি করার মত জ্ঞানও দিয়েছে অপরিসীম।
কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি সুস্থ হয়ে উঠুক আমাদের প্রিয় পৃথিবী নামক গ্রহটি, দূষণমুক্ত হোক আমাদের পরিবেশ। স্বপ্ন দেখি নতুন পৃথিবীর, যেখানে আমাদের দায়িত্ব থাকবে প্রকৃতি ও প্রতিটি প্রাণকে সমান্তরালে ভালোবাসা। নিজেকে শ্রেষ্ঠ না ভেবে প্রতিটি প্রাণকে শ্রেষ্ঠ ভাবা ৷ যতটুকু আঘাত মানুষ সহ্য করতে পারবে তার বেশি আঘাত প্রকৃতিও সহ্য করতে পারবে না, এটি উপলব্ধি করা।
আর ভাবতে চাই না মরে যাবো বা অন্য কোন প্রাণ ঝরে যাবে, বরং আগামী প্রজন্মের কাছে যেন গর্বের সঙ্গে আজকের সুস্থ পৃথিবীর গল্প বলতে পারি সে অনুযায়ী কাজ করতে চাই। আমাদেরকে দেখে যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রকৃতি, পরিবেশ এবং প্রতিটি প্রাণকে সমভাবে ভালোবাসতে শিখে।
শেষ করছি একটি নেটিভ আমেরিকান প্রবাদ দিয়ে – ‘যখন শেষ গাছটি কেটে ফেলা হবে, শেষ মাছটি খেয়ে ফেলা হবে, শেষ জলাধারটি বিষাক্ত হবে, তখন তুমি বুঝতে পারবে টাকা খাওয়া যায় না।’