আমি কতটা ভালো তা আপনার না জানলেও চলবে; কিন্তু কতটা খারাপ তা অবশ্যই জানতে ও জানাতে হবে। কারণ, নিজের ভলো দিকগুলোর চেয়ে খারাপ দিকগুলো প্রকাশ করা জরুরী। এটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারও। এতে ভ্রমেও অন্যের ক্ষতির হবার সম্ভাবনা কমে যায়। অন্যেরা নিরাপদ হয়। পৃথিবী নিজ নিরাপত্তার পদক্ষেপ নিতে পারে।তাই আমি চাই, আমার গুণ নয় দোষের প্রতিই আপনাদের দৃষ্টি নিবন্ধিত হোক।
যদিও সমাজ বলে, ” আরে বাবা খারাপ অভ্যাস আছে, থাক না, সবারই তো থাকে। রেখে-ঢেকে করলে কি সমস্যা। অন্যদের দেখানোর কি আছে। কেউ না দেখলে, না জানলে, স্বাক্ষী না থাকলে আল্লাহও মাফ করে দেয়।” এভাবেই আমরা গোপনে খারাপ কাজ করার অলিখিত ও মৌন অনুমোদন বা স্বীকৃতি পেয়ে যাই। তাদের আড়ালে-আবডালে লালন করি, ধারন করি, পালন করি… যার বা যাদের মধ্যে দিয়ে ট্যাবুরা বেঁচে থাকে সযত্নে, সমাদরে অনন্তকাল।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে যার শিকার নিম্নবিত্ত বা সমাজের ভাষায় নীচ-কূল-জাত মনুষ্য সকল। ধনী বা ক্ষমতাবানরা তাদের বস্ত্র হরন করে; আবার তাদের(ধনীদের) আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে, এই নীচ-কূল-জাত মনুষ্য সকল শাস্তি ভোগ করে এবং প্রতিবাদ করলে অকালেই তাদের জীবন-প্রদীপ নির্বাপিত হয়। অথবা আজীবন শক্তির দাস হয়ে, অযাচিত রমনের নরকযন্ত্রণা ভোগের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ জীবন যাপন শেষে, স্বর্গীয় সাবিত্রী রূপে পৃথিবী হতে লুপ্ত হয়।
আমরা যারা সামাজিক- তারা, আমাদের তথাকথিত সমাজ এই ধনী ও ক্ষমতাবানদের পদলেহন পূর্বক তাদেরকেই উতকৃষ্ট মনুষ্য প্রজাতি হিসাবে স্বীকার করি এবং তাদের নির্ধারিত সামাজিক রীতিনীতি, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, ধর্মাধর্ম, শস্ত্র, রাজনীতি, সংবিধান ইত্যাদি মোতাবেক সামাজ পরিচালনার একক(Standard) বিনির্মান পূর্বক, তা অনুসরণ করেই সমাজ ও নিজেদের জীবন পরিচালনা করে থাকি এবং এ জন্য আমরা একধরনের পাতিবুর্জোয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করি।
যা আমাদের পায়ুপথকে তৈলাক্ত করে এবং যন্ত্রণার বদলে প্রভু কতৃক পায়ু-মন্থনের অপার আনন্দ দান করে। আমাদের জীবন এবং মৃত্যু সার্থক ও যথাযথ ফলপ্রসূ হয়। আমাদের জীবন গর্ব ও অহংকারে একাকার হয়ে স্বর্গীয় সুখ প্রাপ্ত হয়। আমরা আত্ম-অহমিকায় বলিয়ান হয়ে, একেই প্রকৃত জীবন বলি। “আহা! কি সুখ! কি সুখ!”- আমরা নিজেদের অমর জ্ঞান পূর্বক আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হই। অতঃপর পৃথিবী কিছুটা নিষ্কৃতি লাভ করে (তা যত সল্প বা সাময়িক হোক)।