আর নয় বন্ধু!
দেবাশীষ সরকার
হৃদয়ের পোড়া আবেগগুলো খয়েরী ডানা মেলে আজো তৃষাতুর পাখির মতো খোজেঁ ফেরে তোমায়, তোমার কথা রাখতে একটু ব্যাতিক্রমী হতে। কিন্তু কি নির্মম পরিহাস দেখো……?
সীমাহীন শিহরণে রাণী ভবানীর আঙ্গিনায় ভেঙ্গে খান খান হয়ে যায় হৃদয় শরীরের ঝলসানো মুখোশ।
আমি তখন বিষন্নতার কাঠগড়ায় দাড়িঁয়ে রূপালি আলেয়ার ছুঁয়ে যাওয়া উষ্ণতা, তোমার নি:শব্দ চুম্বন, ঝির ঝিরে বৃষ্টিমাখা একফালি রোদ, পুড়ে যাওয়া ফড়িং-এর আর্তনাদ, ঘুমিয়ে পড়া ঝলমলে নদীর কথা বলি।
একটা স্বগীর্য় সময় ছিলো, হাত বাড়ালেই বসন্তরাঙা টগবগে কবিতারা নির্মোহ আবেগে নিসর্গের হাত ধরে সামনে এসে দাঁড়াতো, বলতো ওগো জীবনানন্দের কীতির্নাশা ভালোবাসি তোমায়।
তবুও অবহেলার একটু স্পর্শে, অস্বচ্ছ্ব জলরঙে আঁকা পবিত্র প্রেমীকের ক্রোধে বিস্তীর্ন বালিয়াড়ি জুড়ে নামতো বিরহী প্রেমের উপাখ্যান।
অথচ দেখো গাঢ় রঙ দিয়ে তুলির আচঁড়ে আলো-আঁধারি পেড়িয়ে নিঝুম রূপের আলোয় আঁকতে চেয়েছিলাম তোমার অনবদ্য অব্যক্ত আবেগকে.!
পারলাম না আমি পারলাম না….
সত্যিই গতানুগতিকতাটাই হয়তো ঠিক! ব্যাতিক্রমী হতে চাইব না আর…..