ইঞ্জিনিয়ার শ্যামলের শখের কাশ্মীরি বিরিয়ানী হাউস

0
450

মৌ সাহা : সততাই সফলতার মূলমন্ত্র এই ব্রত নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন চাঁপাই নবাবগঞ্জের ছেলে শ্যামল।পুরো নাম এস.এম.ওবায়দুর রহমান (শ্যামল)।চাঁপাই নবাবগঞ্জ সরকারি হরিমোহন স্কুলের ছাত্র শ্যামল, ঢাকায় আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর অল্প কিছুদিন চাকরী করেছেন।

একদিন রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে রেস্টুরেন্ট দেখে তিনি শখের বশেই সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরী ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করবেন।সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে ছোট পরিসরে রেস্টুরেন্ট দেন।এবং ধীরে ধীরে আশানুরূপ সাড়া পেতে থাকেন।বর্তমানে ১০০ জন স্টাফ শ্যামলের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।

প্রায় সব ধরনের আইটেম শ্যামলের রেস্টুরেন্টে আছে।এছাড়াও চাঁপাই নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী “কালাইয়ের রুটিও” তাঁর রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়।তিনি বলেন ‘আমি আমার স্থানীয় এবং এলাকার লোকজনদের যথেষ্ট সমাদর করার চেষ্টা করি এবং আগামীতেও এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো একটি সুখবর দিয়েছেন, আগামী ৫ই নভেম্বর ২০২০ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় কাশ্মীরি বিরিয়ানী হাউসের উদ্বোধন হতে চলেছে।শ্যামলের রেস্টুরেন্টে চাঁপাই নবাবগঞ্জ বাসীর জন্য বিশেষ সুবিধাও রয়েছে। শ্যামল মনে করেন,জীবনের প্রতিটি কাজই চ্যালেঞ্জের।তবে যেকোন কাজ যদি ধৈর্য,নিষ্ঠা ও সৎভাবে করা যায় তাহলে সফলতা একদিন আসবেই।

সৎ এবং সততা মানুষকে তাঁর কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।রেস্টুরেন্ট চালু করার ফলে কর্মরত ১০০ স্টাফের প্রারিশ্রমিক দিয়ে তাঁদের ছেলেমেয়ে,সংসার খুব সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে,এটাই শ্যামলের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে শ্যামলের বার্তা- যেকোন ব্যবসা করতে গেলে উত্থান পতন থাকবেই।

তবে নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি একটাই পরামর্শ যে কাজটা শুরু করতে চান,সেই কাজ সম্পর্কে ভালোকরে জেনে এবং যাচাই বাছাই করে শুরু করবেন।যেমন:- রেস্টুরেন্টের ব্যবসায় যেমন অনেক লাভ আছে আবার ঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি।তাই ধৈর্য নিয়ে কাজ করে যান।নিজের সফলতা নিজেই দেখতে পাবেন।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধলালপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পুত্র সন্তানরে বাবা হলনে, শুভেচ্ছা
পরবর্তী নিবন্ধকেন এমন হয় ! -কবি আজাদুর রহমান‘এর কবিতা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে