এবারের বর্ষা
কবি দেবাশীষ সরকার
অসহায়ত্বের মাত্রা নির্ধারণ যদি সম্ভব হতো, তাহলে আমি দেখতাম তুমি কেমন আছো? আমি কেমন আছি ? আমরা কেমন আছি?
বহুমাত্রিক চেতনার যাঁতাকলে পিষ্ট অস্তিত্বে স্থিরতা নেই, বর্ষার কাদা জলে ডুবে গেছে মেঠোপথ। করোনার মহামারী ভুলে টিপ টিপ বৃষ্টিতে কবির কাব্য চেতনা যুবক ব্যাঙদের সঙ্গমে অস্থির ঝড় তুলে।
মাছেরা আহুতি দেয় জেলেদের জালের আশায়, প্রাণের বাড়াবাড়িতে ত্রাণ গুলো সব বিলি হয় চেতনাবাজ দের ইশারায়।
বাটুল গাছের ছায়ায় বৃষ্টির পানি কি মানে! শরীর ভিজে যায়, যৌবন ফুটে ওঠে যুবতীর ভেজা কাপড়ে।
কচুরিপানার সখ্যতা, হাঁসের জলকেলি শেষে শিকারি টোপ নিয়ে যায় পরপারে।
অসহায়ত্বের মাত্রা দেখা যায় না, বোঝা যায় না, অনুভব করা যায় না, রং লাগিয়ে গাল ফুলিয়ে বলা তো যায়।
বর্ষার শেষে বান শেষে মেঘেরা যাবে চলে, তাপদাহ আর রোদ্রে পূর্বের পৃথিবী আবারো পূড়বে দগ্ধ দহনে। কলমি লতার বাগান শুকোবে হিজলের ফল ভেসে ভেসে গিয়ে ঠেকবে ডাঙ্গায়, গজাবে নতুন কুড়ি বেঁচে থাকি সে আশায়….