এসো শূন্য বানাই
কবি গৌতম চট্টোপাধ্যায়
আমি তো খুঁজিনি কিছুই..,
তবুও আগুনকে শিক দিয়ে খুঁচিয়ে চলেছি..,
মুখে,মাথায় ছাই মেখে তুষের আগুন-চোখে
খুঁজেছি আলো…, দিশাহীন না কী পথভ্রষ্ট!
না-কী নিজেই লিখে চলেছি পথের ঠিকানা
বোঝা হয়ে উঠল না…,
তবে “বোঝা” হলো “বোধ” হয় ।
সে “বোঝা”নামাতে নামাতে দিন সাঙ্গ হোল,
রাত্রি এল…, ভাবি বাহ্! এ চমৎকার!
অন্ধকারেও একটা অসাধারণ আলো থাকে,
একান্তে থাকলে দৃশ্যতঃ হয়… ।
বোধিবৃক্ষের নিচে বসে বোধের মাথায়
গোটাকয়েক গাঁট্টা মেরেও “বোধোদয়”হোল কই!
আর্যভট্টের শূন্যের আবিষ্কার পড়িনি ঠিকভাবে,
বাঁদরের মত এ ডাল ও ডাল
নিরর্থক লম্ফঝম্ফ দেখে
আর ভস্মাসুর’ এর নিরর্থক, নির্বোধ দৌড়
দেখে দেখে হাসতে হাসতে ভাবলাম
বাঁদরের হাতে নারকেল হলে যা হয় আর কি!
শেষমেষ সেই ছাই মাখা মুখে,মাথায়,
আবার সেই চোখ জ্বালা করা,
চোখের পাতায় চিতার আগুনের ঈথার কম্পন
অনুভূত হয় অনুভবে।
কোয়ান্টাম শূন্যতা, পজিট্রন না কী
কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন!
পদার্থবিদ্যা, এ অপদার্থ পড়ে নি কোনক্রমে!