করোনা কালে আইন পাড়ার অর্থনৈতিক ক্ষতি – ভাস্কর বাগচী

0
672
ভাস্কর বাগচী

করোনা কালে আইন পাড়ার অর্থনৈতিক ক্ষতি-ভাস্কর বাগচী

সারাদেশে প্রায় ৫০-৫৫ হাজারের মত আইনজীবী আছে। আইনজীবী সহকারী আছে; প্রায় ১,০০০০০ এর মত। এছারা দলিল লেখক সংখ্যা প্রায় সারাদেশে আনুমানিক ১,৫০.০০০মত। ২০১৬ সালের এক হিসাব মতে, দেশের সকল আদালতে প্রায় প্রতিদিন গড়ে ২২ কোটি টাকার মত বিভিন্ন প্রকার কোর্ট ফিসাদি জমা পড়তো।
দলিল লেখকগন ও প্রায় আনুমানিক গড়ে ৫০ কোটি টাকার প্রত্যহ বিভিন্ন ফিসাদি রাজকোষে জমা দেন। আজ প্রায় ৬৫ দিন যাবৎ গনছুটি থাকায় ৬৫*৫০+২২=৪,৬৮০ কোটি টাকা! সরকার তথা রাষ্ট্র এখাত থেকে পায়নি। অনেক প্রবীণ আইনজীবীর কাছ থেকে শুনেছি, ১৮৯৮সালে ফৌজদারী কার্যবিধি চালু থেকে বা ১৯০৫ সালে দেওয়ানি কার্যবিধি চালুর পর থেকে এমন ভাবে এতোদিন ধরে এসব রাজস্ব আদায় বন্ধ থাকেনি। তাই রাষ্ট্রীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য খাতের আয় বন্ধ থাকা, রাষ্ট্র জন্য অশনি সংকেত। অনেকে মনে করেন, ওপরে যে ৫০কোটি বা ২২ কোটি টাকার হিসাব দেওয়া হয়েছে তা অনুমানিক। আসলে এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য কত? এর সমীক্ষা দেশে কখনো হয়নি! এতোদিন অনুমান ধরেই কাজ চলছে।অাবার ভ্যট, আয়কর এর একটা বড় অংশ কর আইনজীবীগনের মাধ্যমে আদায় হয়। গণছুটির কারনে অনেক রাজস্ব শুধু মাত্র শুনানীর কারনে অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে। আইনগত জটিলতায় হয়তো তামাদিও হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু সরকারী ব্যয় থেমে নাই। সরকার কে এ বিপুল ব্যয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অর্থনীতির চাকা চালু করতে আমাদের অভ্যান্তরীন আদায় বাড়ানোর কোন বিকল্প নাই। বৈদেশিক উৎস থেকে আসন্ন অর্থ বছরে খুব একটা সারা পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কারন করোনাগত কারনে সবদেশের অবস্হা কাহিল। তাই সংশিষ্টদের এ বিষয়ে সজাগ হতে অনুরোধ করছি।
স্বাস্হ্যবিধি মেনে ভুমি রেজিষ্টারী অফিস, অপ্রয়োজনীয় লোক এড়িয়ে নিম্ন আদালত সহ সকল রাজস্ব আদালত চালু করতে ; আমাদের কাল বিলম্ব কারা বোধ হয় উচিত নয়।

লেখক- ভাস্কর বাগচী ২৭/৫/২০১৮

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটো‌রের লালপুরে পুলিশসহ আরো দু’জন করোনা আক্রান্ত, জেলায় মোট ৫৫
পরবর্তী নিবন্ধলালপুর বাজারে জলাবদ্ধতা নিরসন ও নর্দমা নির্মাণ শুরুর দাবিতে ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে