রাজু আহমেদ, সিংড়া, নাটোর কণ্ঠ: করোনাযুদ্ধে জয়ী হলেন নাটোরের সিংড়ার কৃতি সন্তান চিকিৎসক কে এম নাজমুল আলম। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। করোনা জয়ের পর শীঘ্রই তিনি কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সমন্বয়ক চিকিৎসক অসীম চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, আশার খবর, আমাদের ৪২ জন চিকিৎসকের মধ্যে ইতিমধ্যে ২৬জন চিকিৎসকসহ সর্বমোট ৪৯ জন করোনা মুক্ত হয়েছেন। দু-একদিনের মধ্যে তাঁরা আবার কাজে যোগ দেবেন।
সিংড়া উপজেলার ১২ নং রামানন্দ খাজুরিয়া ইউপির কৈগ্রামের সন্তান চিকিৎসক কে এম নাজমুল আলম এক ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে পুরান ঢাকায় বসবাস করেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী আসতে শুরু করার পর স্ত্রী আর ছেলের কথা চিন্তা করে তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়ায় রেখে আসেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে গত ২৩ এপ্রিল পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তখন থেকে নিজ বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। বর্তমানে তার পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ এসেছে।
কে এম নাজমুল আলম জানান, মার্চের ১০ তারিখের পর থেকে আমাদের হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগী আসা শুরু হয়। সে সময় আমি আমি ১৭ মার্চ আমার স্ত্রী আর সন্তানকে নাটোরে আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিই। আমি করণা পজিটিভ হওয়ার পর বাসায় নিজের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সবসময় যোগাযোগ রেখেছি। নিজের মনোবল ধরে রেখেছিলাম। বাসায় নিয়ম করে গরম পানি আর ওষুধ সেবন করেছি। এভাবে টানা ১৭-১৮ দিন বাসায় থেকেছি। বর্তমানে আমার করোনা নেগেটিভ এসেছে।
তিনি সবাইকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনারা কেউ ভয় পাবেন না, ভেঙে পড়বেন না, মনোবল দৃঢ় রাখুন। সব ধরনের সতর্ক থাকার পরও যদি আক্রান্ত হয়ে যান, তাহলে নিজেকে বোঝান আপনার কিছু হবে না, আপনার শক্তি রয়েছে করো না কে পরাজিত করার। নিয়মিত ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান, ব্যায়াম করুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, গরম পানি খান, গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন, নিশ্চিত করোনাকে পরাজিত করতে পারবেন বলে পরামর্শ দেন তিনি।
Advertisement