ক্ষুধার্তের ক্ষুধা- ভাস্কর বাগচী
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পুর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি!” ” বলতে পার বড় মানুষ মোটর কেন চড়বে, গরীব কেন সেই মটোরের তলায় চাপা পড়বে!” মাত্র একুশ বছরের জীবনে পৃথিবীর নব প্রজন্মের জন্য সকল জঞ্জাল হটাতে চেয়ে, পৃথিবীবাসীর কাছে উপরের প্রশ্ন গুলি রেখে গেছিলেন আমাদের গোপালগঞ্জ জাত আরেক কবি! তারপর আবার গোপালগঞ্জ থেকে আবার ডাক আসে- আয় একটা দেশ গড়ি! শোষন বঞ্চনা ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্হার দেশ। তারপর পঞ্চাশ বছর চলে গেল! চোরের খনি থেকে আজও তেলচোর, চালচোর, চাটার দল বাহির হচ্ছেই! কর ফাঁকিবাজ অবৈধ টাকার মালিকের বহাল হালে গর্তে লুকিয়ে আছে মহামারী কেটে গেলেই আবার দাপট দেখাতে শুরু করবে! বুলির আওয়াজে তারা মিডিয়া কাঁপিয়ে দিবে! দেশ এদের প্রাণে মনে মিশতে পারেনি! উচ্চ আদালত ঘোষিত দেশের নব্য জমিদারগন আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভুমিপুত্রদের ভুমির অধিকার দিচ্ছে না! দেশে নতুন বোতলে পুরাতন মদ প্যকেট হচ্ছে! বাজার জাত সময়ের ব্যপার মাত্র! একাত্তর, পাঁচাত্তর, দুইহাজার এক এর অসহায়রা আজ আবার দুই হাজার নয়ের নব্য বসন্তের ককিলের দ্বারা কোণঠাসা! শেখহাসিনা পর আমাদের কান্ডারি কে? এই পরশ্রীকাতর ও বেইমান জাতির!