গুরুদাসপুর ,নাটোর কণ্ঠ.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের রাজস্ব ও উন্নয়ন তহবিল নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। এতে করে উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য প্রদান করছেন। তাছাড়া সবাই দুষলেন উপজেলা প্রশাসনকে।
সংশ্লিষ্ট দুটি দপ্তর সুত্র জানাযায়, উপজেলা পরিষদ রাজস্ব ও উন্নয়ন তহবিলের অর্থে বিভিন্ন প্রকল্প দেন যা প্রকৌশলী দপ্তরর সাথে কোন রুপ সমন্বয় করেন না। আবার উপজেলা প্রকৌশলী নিয়মিত অফিস করেন না। এতে করে উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে বলে দাবি উপজেলা প্রশাসনের। উপজেলা পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, করোনা কারনে মিটিং নাই বললেই চলে। কিন্তু প্রকল্পের কাজতো থেমে নেই। এমনকি উন্নয়ন ও রাজস্ব তহবিলের অর্থ খরচ হয়েই চলছে। তাছাড়া ভূমি রেজিষ্টি থেকে আসা ১% টাকা তাদের দেয়া হয়না।
এলজিইডি’র উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ৩০ লাখ টাকার আর এফ কিউ এর মাধ্যমে কাজ করার জন্য ৫ বার ইষ্টিমেট করতে হয়েছে। ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেব সেখানেও সমস্যা। অনেক কথা বলা যায়না। কাজটি কি হচ্ছে কিছুই জানলামনা বিলে স্বাক্ষর করতে তার ওপর চাপ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী আ খ ম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যার যে কাজ তাকে স্বাধীনভাবে করতে দেয়া উচিত। এতে একটু সমস্যা আছে। তাপরও করোনার কারনে অনেক সমস্যা হলেও তার যে কাজ তিনি যথাসময়েই করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, সকল কাজকর্ম সঠিক ভাবে হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রকৌশলী ঠিকমত অফিস না করায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে অভিযোগের শুরে স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তিনি উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকাণ্ডের উপদৃষ্টা হলেও পরিষদ তাকে না জানিয়ে সকল কাজকর্ম করে চলেছে। উন্নয়ন ও রাজস্ব তহবিলের টাকায় কি কাজ করেন তা তাকে জানানো হচ্ছেনা। এমনকি সমন্বয় সভার মাধ্যমে কি প্রকল্প দেয়া হয় না হয় সেগুলোর কোন রেজুলেশন তাকে দেয়া হয়না বলে তিনি জানান।
Advertisement