খান মামুন, নাটোরকন্ঠ:
দেশে দুর্যোগকালীন অবস্থার মধ্যেই আজ সোমবার (২৫ মে) উদযাপন হবে ঈদুল ফিতর। করোনা পরিস্থিতি আর সবশেষ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে অনেকটা শেষ হয়ে গেছে ঈদ উৎসব।। ঈদের আনন্দ ।।লোকমুখে শুনে এবং মোবাইলে সংবাদ পেয়ে নাটোর শহরের হাফরাস্তা,দক্ষিণ ও উত্তর বড়গাছা,তেবাড়িয়া উত্তরপাড়া এবং ষ্টেশন বস্তি এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারেরর ঈদ বাজার হয়নি শুনে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পৌচ্ছে দিলেন সাংবাদিক নাসিম । সোমবার রাত ১ টায় মানুষদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও অসহায়দের জন্য চাঁদরাতে উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটছেন বাংলাদেশ প্রতিদিন ও টিভি চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোরের নাটোর প্রতিনিধি নাসিম উদ্দীন নাসিম ।
সোমবার (২৫)মে রাত দেড়টায় লোকমুখে খবর পেয়ে শহরের হাফরাস্তা এলাকার এক অসহায় হোটেল কর্মচারীর বাসায় ঈদের বাজার নিয়ে হাজির হোন তিনি । হোটেল কর্মচারী বাসার দরজায় খাবার রেখে দরজায় টোকা দিয়ে সরে পরেন । এভাবেই মধ্যবিত্ত ও নিুববিত্ত ২০ টি পরিবারের দরজায় উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী পৌচ্ছে দিলেন সাংবাদিক নাসিম । এক মুদি দোকানদারের মমুখে শুনে রাত ২টায় শহরের তেবাড়িয়া উত্তরপাড়া এলাকায় একজন অসহায় কুলি শ্রমিক এবং বৃদ্ধ নারীর বাসায় খাদ্যসামগ্রী পৌচ্ছে দেন ।
এ দুটি পরিবারেরর সদস্যরা জেগে উঠলে তাদের সাথে সবাইকে ঈদ মোবারক ও ঈদের শুভেচ্ছা জানান ।
এ সময় দুটি পরিবারের সদস্যরা অশ্র“জড়িত কন্ঠে জানান,দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে তারা কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছে । পাড়ার মুদি দোকানে অনেক বাঁকি থাকায় তারা ঈদের বাজার করতে যায়নি ।। আপনারা বাজার না দিলে ঈদের দিনে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মুখে সেমাই বা উন্নত খাবার দেয়া হতোনা ।। লোকলজ্জার ভয়ে কারো কাছে চাইতেই পারিনি ।
এমনই দিনমজুর ২০ টি পরিবারের দরজায় আমেরিকা প্রবাসী আসাদুজ্জামান আসাদের দেয়া খাবার পৌঁছে দেন সাংবাদিক নাসিম । এ সময় সাথে ছিলেন গণমাধ্যমকর্মী খান মামুন,সাব্বির আহমেদ,ওয়াকিল আহম্মেদ সাগর । খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৫ কেজি ভাতের চাউল. ১ কেজি পোলাও চাল.এক লিটার তেল. আলু ৩ কেজি.৫০০ গ্রাম ডাল.গুড়ো .দুধ.চিনি.লাচ্ছা সেমাই.খিল সেমাই.নুডুলস.একটি সাবান ।
সাংবাদিক নাসিম জানান,এবারের ঈদ হচ্ছে ব্যতিক্রমী ঈদ। এমন অবস্থায় কারোও মনে ঈদের আনন্দ নেই । ঈদের সময় সবার মনে অনেক আশা থাকলেও এ বছর সেটি নানা কারণে পূরণ সম্ভব হচ্ছেনা করোনার কারণে দিনমজুর মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং হচ্ছে ।আপনার বাড়ির পাশে যিনি অসহায় তার খবর নিন এবং সহযোগিতা করুন। এই সংকটের মধ্যে একে-অপরকে সহায়তার মাধ্যমে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া উচিত ।
হোটেল কর্মচারী ময়ুর হোসেন বলেন, ঈদ বাজার করতে না পেরে রোববার রাত ১১টায় সাংবাদিক নাসিম ভাইকে মুঠোফোনে জানিয়েছিলাম ।তিনি তখন রাজশাহী ছিলেন বউ বাচ্চার কাছে । বললো চিন্তা করেননা রাতেই পৌচ্ছে যাবে ঈদ বাজার । ১ টায় নাসিম ভাইয়ের মিস কল পেয়ে দরজা খুলে দেখি ঈদের বাজার।। এখাবার গুলো না পেলে বাচ্চাদের সামনে মুখ দেখাতে পারতাম না ।
তেবাড়িয়া উত্তরপাড়ার মুদি দোকানী বাবু বলেন, সাংবাদিক নাসিমকে বলেছিলাম এলাকার দুটি অসহায় পরিবারের কথা বলেছিলাম ।সোমবার রাত ২ টায় আমাকে বাসা থেকে ডেকে দুটি পরিবারকে ঈদের বাজার দিলেন তিনি ।
গণমাধ্যমকর্মী খান মামুন জানান, সাংবাদিক নাসিম একজন মানবিক মানুষ । মানুষের বিপদে আপদে তিনি সব সময় পাশে দাঁড়ান । এবারো করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে অসংখ্য মানুষকে দিয়েছেন । রোজার আগে ১০০ প্রকৃত রোজদার পরিবারকে পুরো মাসের ইফতার সামগ্রী দিয়েছেন ।প্রবাসী আসাদুজ্জামান আসাদ ,আমানা গ্র“পের এমডি মাসুদুল হক এবং জেলা স্বেচ্ছসেবক লীগের সাধারণ স¤পাদক আহম্মেদ সেলিমের দেয়া সাড়ে তিনশো কর্মহীন পরিবারকে ঈদের বাজার উপহার দেন ।২৮ রমজান নাটোরের সংবাদপত্র হকার্সদের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ঈদ বাজার উপহার দেন।
ছাত্রলীগ নেতা আজমাঈন সাদ বলেন. সাংবাদিক নাসিম ভাই একজন ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ । উনার অনেক সেবামূলক কাজে আমি নিজেই উপস্থিত থেকে সহযোগীতা করেছি । গরীব অসহায় মানুষের জন্য কাজ করাতেই আনন্দ খুঁজে পান তিনি ।
চাঁদরাতে অসহায় পরিবার গুলোর দরজায় উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে নাটোরবাসী ।
চাঁদরাতে অসহায় মানুষের বাসায় খাদ্যসামগ্রী উপহার নিয়ে ছুটে গেলেন সাংবাদিক নাসিম
Advertisement