জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শ্যুটার মোবারক হোসেন রত্ন’র আজ ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

0
478
Mobarok, শ্যুটার মোবারক হোসেন, রোটারিয়ান মোবারক হোসেন রত্ন
নাসিম উদ্দীন নাসিম নাটোরকন্ঠ:
পাবনার কৃতিসন্তান শ্যুটিংয়ে পর পর কয়েকবার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন, আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্যুটার, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও ইউনিভার্সাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রোটারিয়ান মোবারক হোসেন রত্ন’র আজ তম বারো তম মৃত্যুবার্ষিকী। উড়ন্ত পাখিকে নিশানা করে ভূপাতিত করা (ক্লে পিজিয়ন শ্যুটিং) প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বি।
২০০৭ সালের ১৯ মার্চ তিনি সিঙ্গাপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ইউনিভার্সাল গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহন করেছে। সকালে মরহুমের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিনের কর্মসূচি।
মোবারক হোসেন রত্ন ১৯৫৭ সালের ২০ জানুয়ারি পাবনা শহরের দিলালপুর মহল্লায় জন্ম গ্রহন করেন। বাবার নাম মরহুম মোকাররম হোসেন ছিলেন পাবনা শহরের বুনিয়াদি ব্যবসায়ী।১৯৭২ সালে মোবারক হোসেন পাবনা জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মেট্রিক পাস করেন। এরপর ভর্তি হন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে। ১৯৭৫ সালে তিনি সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন করেন।
মরহুম মোবারক হোসেন রত্ন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন পরিশ্রমি ও মেধাবী। মেধা, শ্রম আর কর্মদক্ষতা দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন বহু প্রতিষ্ঠান।তার মালিকানাধীণ পাবনার অনন্ত ও রুপকথা সিনেমা হল এক সময় ছিল বিনোদনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। এরপর পাবনা সিরাজগঞ্জে কয়েকটি সিনেমা হল, ইউনিভার্সাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ, ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেডসহ বেশকিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন।
তিনি ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক ও প্রতিশ্রুতিশীল ক্রীড়াবিদ। বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জাতীয় শ্যুটিং ফেডারেশনের নির্বাহী সদস্য ছিলেন।
এক যুগেরও বেশী সময় পাবনা রাইফেল ক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং পাবনা রোটারী ক্লাবের সভাপতি।
১৯৯১ সালে তিনি ক্লে পিজিয়ন জাতীয় শ্যুটিং এ বাংলাদেশের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন এবং গোল্ড মেডেল পান। ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দলগত গোল্ড মেডেল এবং একক ব্রোঞ্জ পদক অর্জণ করেন।
১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি পাবনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের ডেলিগেট ছিলেন।
তিনি সব সময় দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থাকতেন। তাদের পুনর্বাসনে তিনি ছিলেন সক্রিয়। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ মানুষ ও কর্মপুরুষ। ২০০৭ সালের ১৯ মার্চ তিনি দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন।
এছাড়া ইউনিভার্সালের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিনব্যাপী কোরআন তেলোয়াত, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধকি করে বলবো ভালোবাসি..? দেবাশীষ সরকারের কবিতা
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা ভাইরাস ও বাংলাদেশের পরিস্হিতি – সুমনা আহমেদ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে