খোলা চিঠিঃ-
সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছিঃ————————
“ডিপিএড স্কেলে সর্বনাশ”
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হয় প্রশিক্ষণ ছাড়া ১৫তম গ্রেডে (৯৭০০ টাকা বেসিক) এবং প্রশিক্ষণ সনদ দাখিল করলে ১৪তম গ্রেডে (১০২০০টাকা বেসিক) বেতন পায়। আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ১৫তম গ্রেডে (৯৭০০) টাকা বেসিকে ২০১৬ সালে যোগদান করি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বার্ষিক ৫% ইনক্রিমেন্টে আমার বেসিক হয় ৯৭০০থেকে ১০২০০ টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৫% ইনক্রিমেন্টে আমার বেসিক হয় ১০২০০ থেকে ১০৭০০ টাকা।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫% ইনক্রিমেন্টে আমার বেসিক হয় ১০৭০০ থেকে ১১২৪০ টাকা।
২০২০-২১ অর্থ বছরে ৫% ইনক্রিমেন্টে আমার বেসিক হওয়ার কথা ছিলো ১১২৪০ থেকে ১১৮১০ টাকা।
কিন্তু ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আমি পিটিআই এর ডিপিএড সনদ দাখিল করলে আমি ১৫তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডের কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হই। ১৪ তম গ্রেডের কর্মচারী হওয়ায়
২০২০-২১ অর্থ বছরে ফিক্সেশনের সময় আমার নিম্ন ধাপে ফিক্সেশন হয়ে ১৪তম গ্রেডে আমার বেসিক হয়েছে ১১২৫০ টাকা।
কিন্তু বর্তমান অর্থ বছরে আমি যদি ডিপিএড সনদ দাখিল না করতাম তাহলে আমার ১৫তম
গ্রেডে ১১২৪০ এর সাথে ৫% ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে আমার বেসিক হতো ১১৮১০ টাকা।
কিন্তু তা না হয়ে ১৪তম গ্রেডে আমার বেসিক হয়েছে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১১২৫০ টাকা!
অথচ একসাথে চাকরিতে যোগদান করে যারা ডিপিএড সনদ দাখিল করেনি তাদের বর্তমান অর্থবছরে বেসিক হয়েছে ১১৮১০ টাকা।
সুতরাং একই সাথে একই পদে যোগদানের পরও
ডিপিএড সনদ ধারী শিক্ষকের চেয়ে ডিপিএড সনদ ছাড়া শিক্ষক সারাজীবন বেতন ভাতা বেশি পাবে। যার প্রভাব ডিপিএড সনদ ধারী একজন শিক্ষকের চাকরি পরবর্তী জীবনে ও প্রভাব ফেলবে।
তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য এখনই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।
লেখকঃ-
মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ
সহকারী শিক্ষক
দড়িকাছিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
গুরুদাসপুর, নাটোর।
মোবাইল নং ০১৭১১ ৪৩ ৩৮ ৬৫