তোমার অন্তঃপুরে
সাবা সাবরিন
তোমার অন্তঃপুরে… আমার অবাধ বিচরণ। তোমার কোনো ক্ষমতাই নেই যে, তুমি আমায় সেখানে যেতে বাধা দাও। তবে আমি ইচ্ছে করে সেখানে যাইনি, যেতে বাধ্য হয়েছি।
তোমার অন্তঃপুরে একদিন উঁকি দিয়ে দেখি, আগাছায় ভরে গেছে তোমার উঠোনটা। ওগুলো পরিস্কার করারও তো কেউ নেই। আমার ভীষণ কষ্ট হলো, জানো? এ দৃশ্য দেখে আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। সব অভিমান দূরে সরিয়ে রেখে প্রবেশ করলাম তোমার অন্তঃপুরে।
দিন রাত এক করে তোমার উঠোনের আগাছাগুলো পরিস্কার করলাম। তারপর সেখানে রঙ বেরঙের ফুলের গাছ লাগলাম। এখন দু’বেলা ওই গাছগুলোতে জল দিই। কিছুদিনের মধ্যেই ওরা ফুলে ফুলে ভরে উঠবে। সেই ফুলের সুগন্ধে তোমার অন্তঃপুর ভরে উঠবে। তখন একটা ধন্যবাদ নাইবা দিলে, মিষ্টি করে একটা হাসি অন্তত দিও। ওতেই আমার মন ভরে যাবে।
আচ্ছা, একটা সত্যি কথা বলো তো, যখন তোমার উঠোনে আমি নূপুর পায়ে হেঁটে বেড়াই তখন কি একবারও আমার নূপুরের শব্দ শুনতে পাও না? যখন ফুলগাছগুলোতে জল ঢালি তখন কি একবারও আমার চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ তোমার কানে পৌঁছায় না? যখন আমি শাড়ির আঁচল মেলে গালে হাত দিয়ে তোমার উঠোনের এক কোণে চুপটি করে বসে থাকি, তখন কি একবারও আমায় অনুভব করো না?
আসলে, অনুভব ঠিকই করো কিন্তু স্বীকার করো না। আচ্ছা যাও, স্বীকার করতে হবে না। কিন্তু যখন তোমার অন্তঃপুর ভরে উঠবে ফুলের সৌরভে, তখন মিষ্টি করে একটা হাসি দিও। ওতেই আমি শান্তি পাবো। তোমার কাছে আর কিছুই চাইবো না।
সাবা সাবরিন