দোষ নিশ্চয়ই নিয়তির! – মোহাম্মদ সেলিম
২৩ মার্চ সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেলাম। সেদিন বুঝিনি আঘাতটা কতটুকু। পরদিন ২৪ মার্চ করোনার কারণে কোথাও কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে ডক্টর না পেয়ে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের বহি:বিভাগে গেলাম। সেখানে পরিচিত ডক্টর ছিলেন। তিনি জরুরী ভিত্তিতে এক্স-রে করতে দিলেন। হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে গিয়ে জানা গেলো বিদু্্যৎ নেই এক্স-রে হবে না। সেখান থেকে সোমা প্যাথলজিতে গেলাম। সেখানে কামরুল ভাইকে বললাম, ভাই আপনাদের এখানে এক্স-রে হবে? তিনি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে বললেন, হবে ভাই। ভালোকরে করে দিচ্ছি। বললাম ডিজিটাল করা লাগতো না? বললেন অসুবিধা নেই।
সদর হাসপাতালে ফিরে গেলাম। বহি: বিভাগের ডক্টর দেখে বললেন, ভাই ভালোই মনেহচ্ছে, তবে একজন বিশেষজ্ঞ ডক্টর দেখিয়ে নেন। ২০৪ নম্বর রুমে শহিদুল হক সুমন ডক্টরকে পাবেন। অনেক কষ্টে সেখানে গেলাম। গিয়ে জানাগেল ডক্টর নেই। বাইরে গেছেন। হাসপাতালের এডিকে ফোন দিলাম। সাথে বন্ধু এড, মালেক শেখকে ফোন দিলাম ডক্টরকে বলার জন্য । যাইহোক কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ডক্টর শহিদুল হক সুমন আসলেন এবং এক্সরে দেখে আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দিলেন। বললেন আঘাত লেগেছে তবে ফাটা অথবা ভাঙেনি। ঔষধ দিলেন এবং এক সপ্তাহ রেস্ট নিতে বললেন।
১০ দিন পরে পায়ে বেশি ব্যাথা হওয়ার কারণে ফের সদর হাসপাতালে গেলাম। আবারও ডক্টর নেই। আবার এডিকে ফোন। পরিশেষে হাড়-জোড় বিশেষজ্ঞ ডক্টর সাজাহান চিকিৎসা দিলেন। বললাম এক্স-রে করতে হবে কি না? তিনি বললেন, রেস্ট নেন আর পেইন কিলার খান।
১০ দিন পর ফের গেলাম হাসপাতালে। ডক্টর শহিদুল হক সুমনের দেখা পেলাম। খুব আন্তরিক। বললেন, কমেই তো গেছে। এখন একটু হাঁটতে পারেন। বললাম- ব্যাথা আছে তো! এক্সরে করা লাগে কিনা? বললেন লাগবে না, তিনবেলা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন।
আজ একমাস তিন দিন পর পায়ে ব্যাথা না কমার কারণে নিজের ওপর বিরক্ত হয়ে সততা ক্লিনিকে গেলাম। ডক্টর তৈমুর রহমান পা দেখে এক্স-রে করার পর বললেন, আপনার জন্য দু:সংবাদ। আপনাকে আরো দীর্ঘদিন ভুগতে হবে। আপনার পায়ের উপরে হাড় ফেটে আছে। ব্যান্ডেজ করতে হবে!!