বিশেষ প্রতিবেদক, নাটোরকন্ঠ
সপ্তাহের দু’দিন হাটবার ছাড়াও গ্রাম থেকে যে কেউ গরু বা ছাগল কিনলেই তাকে দিতে হচ্ছে খাজনা/হাসিল। সরকারী নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে হাট কমিটি নিচ্ছে অবৈধ ভাবে আদায় করছে হাসিল। হাট কমিটির এই অদ্ভুত নিয়ম-কানুনে ক্ষুদ্ধ গরু ক্রেতা-বিক্রেতারা। এলাকাবাসীরা বলছেন, এমনিতে হাটে কোরবানীর পশুর দাম কম। তারপরও হাট কমিটির এই অবৈধ নিয়মে পশু ক্রয় করতে আসতে যাচ্ছে না মানুষ। এতে করে আরও লোকসানে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র জানায়, নাটোর সদর উপজেলার করোটা হাট প্রতি সপ্তাহে শনিবার এবং বুধবার হাট বসে। শহরের পাশে গ্রামটি হওয়ার কারনে অনেকেই ঝামেলা এড়াতে এই গ্রাম বা হাট থেকে কোরবানীর পশু ক্রয় করতে আসেন। কিন্তু হাট কমিটির অদ্ভুত নিয়মের কারনে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পশু ক্রয়কারীকে।
জানা যায়, হাট দিন যে কোন পশু ক্রয় বিক্রয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাকে দিতে হয় হাসিল। এছাড়া সপ্তাহের অন্য দিন কেউ যদি গ্রাম থেকে পশু ক্রয়-বিক্রয় করে তাকে হাসিল দিতে হয় না। কিন্তু সে অনিয়ম যেন নিয়মে পরিনত করেছে করোনা হাট কমিটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে করোটা গ্রামের একাধিক খামারি ও গরু লালন-পালনকারী বলেন, হাট কমিটির হটকারী এই সিদ্ধান্ত গরু মালিকদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা গরু ক্রয় করছেন হাসিল দেওয়ার ভয়ে কোরবানীর পশুর দাম কম দিচ্ছে। এই ধরনের নিয়ম বাতিল হওয়া দরকার।
সূত্র জানায়, হাট ইজারার নিয়ম অনুসারে যিনি গরু ক্রয় করবেন তাকে হাসিল দিতে হবে ৫০০টাকা এবং বিক্রেতার ১০০টাকা, ছাগলের ক্ষেত্রে ক্রয়কারীর সর্বোচ্চ ২০০টাকা এবং বিক্রেতার ৫০টাকা। করোটা হাট কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বলেন, এটা সরকারী নিয়মে নাই, কিন্তু আমরা গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে হাটবার ছাড়াও কেউ গরু ক্রয় করলে হাসিল দিতে হবে। কারন এই টাকা মসজিদ এবং মাদ্রাসার উন্নয়ন খাতে ব্যায় করা হয়। এটা অবৈধ আপনি জানার পরও
নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ধরনের সরকারী কোন নিয়ম নাই। শুধু মাত্র যারা হাট থেকে গরু বা ছাগল ক্রয় করবে সেটাই ইজারাদার হাসিল নিতে পারবে। এছাড়া গ্রাম থেকে কেউ ক্রয় করলে সেটার হাসিল নিতে পারবে না। ইতোমধ্যে ইজারাদারকে ফোন করে হাটবার বাদে হাসিল না নেওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও যদি হাসিল নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।