নাটোরকন্ঠ: নাটোরের বড়াইগ্রামের খলিশাডাংগা নদী। নদীর পানি শুকিয়ে গেলে প্রতিবছর এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা ধান চাষাবাদ করে থাকেন। উৎপাদিত ধান প্রান্তিক মানুষের প্রায় সারা বছরের খাদ্যের যোগান দিয়ে থাকে। এরা বেশিরভাগই নদীপাড়ের দরীদ্র ভুমিহীন জনগোষ্টি। কিন্তু এই বছর ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর তীব্র তান্ডব আর বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আগাম বণ্যায় সমস্ত ধান ৫ থেকে ৬ ফুট পানির নীচে তলিয়ে যায়। এতে করে নদীর প্রায় কয়েক শত একর পরিমাণ জমির আধা পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বেশির ভাগ কৃষকই নদীর আবাদি ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। ধানের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্য শুকনা খড়ের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অঞ্চলের মানুষের দাবি, নদীর ধান তলিয়ে যাওয়ায় তাদের বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। স্থনীয়, আবুল, মমেনে, সুবোল, সুকোমল বিশ্বাস সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, নদীর এই সামান্য পরিমান জমি থেকে তারা প্রতি বছর ১৭ – ১৮ মণ ধান পেতেন। কিন্তু এই বছর ঘূর্ণিঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারনে একমুঠ ধানও ঘরে তুলতে পারেনি। একইভাবে নদীঞ্চালের প্রায় সকলেই এই প্রাকৃতিক ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন। এই সমস্ত কৃষকরা এখন দিশেহারা। করোনা কালীন সময়ে তাই তাদের প্রত্যাশা সরকার তাদের জন্য কিছু করবেন।