বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আধা কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় ৩ শতাধিক পরিবারের লোকজন চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। জন প্রতিনিধিদের মুখের মিষ্টি প্রতিশ্রুতির কোন প্রতিফলন ঘটেনি। বর্তমান মানব বান্ধন সরকারের, দৃষ্টি দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন জানাযায়, নাটোরের বাগাতিপাড়ার জামনগর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রাম অত্যন্ত অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ গ্রামের রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে কোন ছোঁয়া লাগেনি। জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি অভিযোগ পাওয়া যায়। জামনগর-তমালতলা পাকা রাস্তা সংলগ্ন এ গ্রামটির যোগাযোগ ব্যস্থা অত্যন্ত নাজুক। এই রাস্তার ফুলতলা মোড় থেকে জালালপুর গ্রামের দূরত্ব আধা কিলোমিটার।
গ্রামে ৩ শতাধিক মুসলিম পরিবারের বসবাস। এ গ্রামে ৩টি জামে মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নামাজ আদায় করেন। গ্রীষ্মে ধূলো-বালি ও বর্ষায় হাঁটু কাদা মাড়িয়ে মসজিদে যেতে হয়। এখানকার সিংহভাগ পরিবার কৃষিকাজে সংপৃক্ত। অসংখ্য শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। বিদ্যুতায়নেও এগিয়ে গ্রামবাসি। কিন্তু উন্নয়ন হয়নি রাস্তা ঘাটের। এ গ্রামের মেটো পথটি সারা বছরই খাদ-খন্দকে ভরা থাকে। সময় সময় গ্রামবাসি স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে খাদ-খন্দক ভরাট করেন।
গ্রীষ্মে ধূলো-বালি ও বর্ষায় হাঁটু কাদা জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে। এ গ্রামের লোকজন ধূলো-বালি ও কাদা মাড়িয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতে অত্যন্ত কষ্টের শিকার হয়। শিক্ষার্থীরা ধূলো-বালি ও কাদা মাড়িয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহায়। কৃষকরা কৃষি পণ্য আনা-নেয়ায় কষ্ট পায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন।
প্রার্থীরা এলাকায় রাস্তাঘাট উন্নয়নের আশ্বাসের ফুলঝুরি ছড়ায়। মিথ্যা আশ্বাসে প্রলুব্ধ হয়ে ভোটাধীকার প্রয়োগ করেন সাধারণ ভোটাররা। কিন্তু নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা নিজের ভাগ্যের উন্নয়ন করতেই ব্যস্থ থাকেন। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন না। স্বাধীনতা উত্তর জালালপুরের রাস্তার কোন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান মানব বান্ধব সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন জালালপুরের গ্রামবাসী।
গ্রামের বৃদ্ধ আফসার আলী খলিফা জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অবহেলিত। বাংলাদেশর স্বাধীনতা উত্তর সরকারি ভাবে এ রাস্তার উন্নয়নে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিরা রাস্তাটি পাকাকরণের আশ্বাস দিলেও কোন কাজ হয়নি। রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে হওয়া দরকার বলে তিনি দাবি জানান।
জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। সাবেক এমপি আবুল কালাম এর সময় ঐ গ্রামে উঠান বৈঠকে রাস্তা পাকাকরণের আশ্বাস দিলেও রাস্তাটি পাকাকরণ সম্ভব হয়নি। দূর্ভোগ লাঘবে বর্তমান মাননীয় এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকাকরণের চেষ্টা করা হবে।