নাটোর কণ্ঠ: আলোচিত বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা ডা আয়নাল হক হত্যা মামলায় তোরাব আর শামীম নামে দুইজনের মৃত্যুদন্ড ও ১১জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
১৮ বছর পর আজ সোমবার সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান সিদ্দিক আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করেন।
সূত্র জানায়, ২০০২ সালের ২৯ মার্চ বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও অস্ত্রের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডা. আয়নাল হককে হত্যা করা হয়।
সে সময় ডা আয়নাল হকের পুত্রবধু নাজমা রহমান বাদি হয়ে মোট ১৭জনের হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে চারজন আসামী মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি ১৩ জন আসামির মধ্যে দুই জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও ১১ জনকে খালাস দেয় আদালত। আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, সেই সময় আসামিরা ডাক্তার আয়নাল হক কে প্রকাশ্যে হত্যা করে উল্লাস করেছিল। কিন্তু বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে আসামিদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র উপস্থাপন করা হয়নি। ফলে অনেক আসামি আইনের ফাঁক গলে খালাস পেয়ে গেছে। তারা এর জন্য উচ্চ আদালতে আবারো আপিল করবেন বলে জানান।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডেররায়ের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ডাক্তার আয়নাল হকের পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন। তিনি জানান, এই রায় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সরাসরি হত্যায় অংশ নেয়া অনেক আসামি খালাস পেয়ে গেছে। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে আসামিপক্ষের প্রতি অবিচার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেছেন, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করছেন। তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
বিস্তারিত আসছে…