নাটোরে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এখন “হালতি’র বিল ”
মোঃ রবিউল ইসলাম (নলডাঙ্গা) নাটোরে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এখন ” হালতি’র বিল” ,
আকাশে উড়ছে সাদা- নীল মেঘ এক কোণে মনে হচ্ছে কখন জানি বৃষ্টি নামবে,চারিদিকে ঝিরি ঝিরি বাতাস বইছে, উড়ছে কিছু পাখি।নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ, হালকা বাতাসে আছরে পড়ছে ছোট ছোট ঢেউ, নৌকা দুল খাচ্ছে এমন সুন্দর মূহুর্তো কার না ভালো লাগে। সকাল কিংবা সন্ধ্যা নামলে সূর্য উঠা ও অস্ত যাওয়ার কি অপরুপ দৃশ্য, এক মূহুর্তের জন্য মনে হবে এ যেনো কক্সবাজার। চারদিকে অথৈই পানি এই পানির উপরে চরের মতো ভাসছে কিছু গ্রাম। গড়ে উঠেছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা। গ্রামের চারদিকে খড়ের গাদা এমন অপরুপ দৃশ্য কার না ভালো লাগে।
এটা কোনো রুপকথার রাজ্য র কথা বলছি না এটা নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় অবস্থিত হালতির বিলের কথা বলছি।কথিত আছে বহু কাল আগে এই খানে হালতিয়া পাখির অনেক আনাগোনা ছিলো সেই অনুযায়ী এই বিলের নাম হয় “হালতি বিল” প্রতিবছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয় মিনি – কক্সবাজার খ্যাত হালতির বিলে। এই বিল এই উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা র মধ্যে অবস্থিত।পাশে রয়েছে নওগাঁর আত্রাই, রাজশাহীর বাগমারা,এবং সিংড়া ও চলন বিল। আত্রাই নদী থেকে পানি এসে ডুবে যায় এই বিল বছরের অর্ধেক সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকে বিল।বাকি সময় বৈরো মৌসুমে সবুজ ধানে ভরে যায় মাঠ,অপরুপ গ্রাম বাংলা। বিলের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে পাটুল টু খাজুরা আরসিসি রোড, পানি অল্প থাকলে দুই ধারে পানি আছরে পড়লে রাস্তায় ভারি চমৎকার লাগে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় অধিকাংশ সময় দর্শনার্থীদের আনাগোনা থাকে।
নাটোর শহরের জিরো পয়েন্ট মাদ্রাসা মোড় হতে গণভবন হয়ে মাত্র ৮ কি.মি. দক্ষিণে, অটো বা সিএনজিতে ভাড়া মাত্র ২৫-৩০ টাকা।নলডাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে ৫ কি. মি. পূর্বে অবস্থিত এই বিল।ভাড়া মাত্র ১৫-২০ টাকা। পাটুল ঘাটে এর প্রবেশের প্রধান সড়ক।
এলাকার জনগণ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল দীর্ঘদিন হলো এই এলাকায় পর্যটন নগরী গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।২০১৭ সালে এই হালতির বিল কে পর্যটন স্পট ঘোষণা করে স্থানীয় এমপি ও প্রশাসন। সম্প্রতি খোলাবাড়িয়ায় পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এই পার্কের কাজ শেষ হলে আরো সুন্দর মনোরম পরিবেশে আকর্ষন করবে পর্যটকদের এমনটা আশা স্থানীয়দের।