ভায়লেট হালদার : প্রতিটি দেশে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী হচ্ছে নারী। বর্তমান সময়েও বিভিন্ন সমাজ ব্যবস্থায় নারী নির্যাতনকে একটি স্বাভাবিক ধারা হিসেবে মনে করে হয়। কিন্তু প্রাগৈতিহাসিক যুগে নারী পুরুষের আলাদা কোন বৈষম্য ছিল না। নারী বৈষম্যের সূচনা হয় মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতির কারণে, বংশগতি রক্ষার ধারা থেকে নারীর অবস্থানের পরিবর্তন হয় যা থেকে মূলতঃ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উত্থান ঘটে।
যে সময় থেকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকানার উদ্ভব ঘটেছে, ঠিক সে সময় থেকেই সমাজে নারী পুরুষ বিভাজন ও বৈষম্যের সূত্রপাত ঘটে। আর তখন থেকেই পুরুষেরা আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। প্রথা, ধর্ম, ঐতিহ্য, ভাষা, পোশাক, সাহিত্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, খাদ্য, রাষ্ট্র, আইন– এগুলো ব্যবহার করে অত্যন্ত সুকৌশলে নারীর পায়ে পরিয়ে দেয়া হলো শেকল। যার ফলে আজও বন্দীদশা থেকে মুক্তি ঘটেনি নারীর।
নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উদযাপন করা হয়। সোশ্যালিস্ট পার্টি অফ আমেরিকা নিউ ইয়র্কে ১৯০৮ সালে বস্ত্রশ্রমিকরা তাদের কাজের সম্মান ও সমমুজুরী আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট শুরু করেন। পরের বছর ১৯০৯ সালে ২৮শে ফেব্রুয়া আমেরিকায় জাতীয় নারী দিবস (National Woman’s Day) উদযাপন করা হয়েছিল।
বিশ্বব্যাপী নারীর কাজের অধিকার, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কাজের বৈষম্যের অবসানের জন্য প্রতিবাদ করতে শুরু করে অগণিত মানুষ। এরপরে কোপেনহেগেনের উদ্যোগে ১৯১০ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইৎজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। একই বছরে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার রাশিয়ান নারীরাও ‘রুটি ও শান্তি’র দাবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরোধিতা করেন।
শান্তি বিষয়ক কার্যক্রমকে সমর্থন করে ৮ই মার্চ ইউরোপের নারীরা এক বিশাল মিছিলে অংশগ্রহণ করে। ১৯১৩-১৯১৪ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রতিবাদ জানানোর একটি প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে। ১৯৭৫ সালের ৮ই মার্চ থেকে নিয়মিতভাবে বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে; প্রতি বছর ভিন্ন প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে।
বিশ্বজুড়ে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলো নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন, শিক্ষা প্রদান, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাবলম্বীকরণে নারীর অধিকার আদায়ে সচেতনকরণ, নির্যাতিত নারীর আইনি সহায়তা, সেমিনার ও কর্মশালা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মসূচী ও লক্ষ্য পূরণের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি আন্দোলনের কাজ এগিয়ে চলেছে। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।
গত ২০১৯সালের ডিসেম্বর মাস থেকে কোভিড-১৯ মহামারীর শুরু হলেও ২০২০সালে মহামারীকালীন সময়ে বিশ্বে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে দ্বিগুণ। পারিবারিক সহিংসতা, সাইবারক্রাইম ও প্রতারণা সহ নানা সহিংস ঘটনার শিকার হচ্ছে নারী। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান সংস্থা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’র পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বে ৩৫ শতাংশ নারীই জীবনের কোন না কোন সময়ে যৌন হয়রানি, শারীরিক লাঞ্ছনা, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশের কম নারীই আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর বিচার পেয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ ভুক্তভোগী।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সংগ্রহিত তথ্যমতে, ২০২০ সালের মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার মধ্যে ১০৭৪ জন ধর্ষণ, ২৩৬ জন গণধর্ষণ ও ৩৩ জন ধর্ষণের পর হত্যা ও ৩ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট ১৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন এবং এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু ৪ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জনের মধ্যে ৪জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে ১১৭ জনের মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা হয়েছে।
শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারনে ১৬৪ জনকে বাধ্য করা হয়েছে। ২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৪৩ জন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গণপরিবহনে চলাচলকারী নারীদের ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনো সময় মৌখিক, শারীরিক ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
শিক্ষাগ্রহণ, চাকুরী, ব্যবসা, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। কিন্তু ধর্ষণ নামক কুব্যধিতে আক্রান্ত সমাজ। অধিকাংশ নারীরা মনে করে, ধর্ষণের শিকার হওয়া মানে সভ্রম হারিয়ে ফেলা; যার ফলে অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েও প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করে। এছাড়াও ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে গেলে ধর্ষণ প্রমাণ করা অনেকের পক্ষেই কঠিন হয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে নারী ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশী ধর্ষণ সহিংতার শিকার হয়। যে সব সমাজে কুমারী শব্দটি অধিক গুরুত্বের সহিত সম্মানের চোখে দেখা হয়, সে সব সমাজে ধর্ষণের শিকার নারী অচ্ছ্যুত।
তবে কেন বাড়ছে ধর্ষণ সহিংতা? দিন দিন কারা ধর্ষক হয়ে উঠছে? সালিশ বৈঠকের নামে ভিকটিম নারীকে ধর্ষকের সঙ্গেই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে কারা ? কারাই বা সালিশ বৈঠকে নির্দিষ্ট অংকের জরিমানা করে ধর্ষককে রেহাই দিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে করছে একঘরে? কুমারীত্ব ও সতীত্ব রক্ষা শব্দটি ছেলেবেলা থেকেই কন্যাশিশুর মনে গেঁথে দেয়া হচ্ছে কেন? পৌরুষ শব্দের দ্বারা পুরুষকেই বা কি শিক্ষা দিচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ?
‘Women in leadership: Achieving an equal future in a COVID-19 world’- প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে এবছর উদযাপিত হচ্ছে নারী দিবস। দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে পালিত এই দিবসে নারীর যতটা অর্জন আছে, তারও চেয়ে অনেক বেশী আছে দুঃখ-যন্ত্রণার সংগ্রামের ইতিহাস। সে হিসেবে নারী সমন্ধে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভাবনা বেশী পরিবর্তন হয়নি; অন্তত দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত নারী প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংতার সংবাদগুলো সেই বার্তাই দেয়।
বিশ্বে অনেক দেশের সরকার প্রধান হচ্ছে নারী। প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বাংলাদেশের তিনটি প্রধান পদে আসীন আছেন নারী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস সাময়িকীর ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৩৯তম স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা (মোট প্রণোদনার ৫ শতাংশ) সরকারি প্রণোদনা বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবং দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় সব বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারীকে ভাতার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স অনুসারে,বিশ্বের ১৫৩টি দেশের মধ্যে ৫০তম স্থান নিয়ে নারীদের সামগ্রিক ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সপ্তম। তবে রাজনৈতিক উপসূচকে অর্থাৎ সংসদে নারীর অংশগ্রহণের উপসূচকে বাংলাদেশ ৮৬তম এবং মন্ত্রীর সংখ্যার উপসূচকে ছিল ১২৪তম অবস্থান।
করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে যৌনকর্মীদের খাবারের বন্দোবস্ত করায় রিনা আক্তার ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক উন্নয়নে অবদান রাখায় রিমা সুলতানা নামে এই দুইজন বাংলাদেশি নারী বিবিসির প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের সংক্রামক রোগ সম্পর্কে গবেষণার জন্য বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. ফিরদৌসি কাদরির ২২তম ল’রিয়েল-ইউনেস্কো ফর ওমেন ইন সায়েন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন।
এছাড়াও অলরাউণ্ডার ক্রিকেটার জাহানারা আলম ভারতের উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করেন এবং ট্রেইলব্লেজার্সের শিরোপা জয় করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণে নারীর আগ্রহ বাড়লেও শিক্ষিত বেকার নারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইজ) ২০১৬–১৭ অর্থবছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যন্ত শিক্ষিতদের প্রায় ৪২ শতাংশই নারী।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্টের পক্ষে বিডিওএসএনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান লাফিফা জামালের জরিপে, প্রকৌশলবিদ্যায় নারীদের শিক্ষার হার যত বাড়ছে কাজে অংশ নেওয়ার হার সেভাবে বাড়ছে না। কিন্তু প্রকৌশলশিক্ষায় শিক্ষিত নারী সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ। ‘এশিয়া প্যাসিফিক এমপ্লয়েমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল আউটলুক’ শীর্ষক গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে নারীর বেকারত্বের হার পুরুষের চারগুণ।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত নারীদের বেকারত্বের হার কি বার্তা দিচ্ছে?
প্রবাদ আছে, Agriculture is the Pioneer of all culture and Women is the pioneer of Agriculture. বাংলাদেশের কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান বীরযোদ্ধা মূলত নারীই। বর্তমানে ৭০লাখ নারী কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান মতে, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ মিলিয়ে কৃষিতে নারী কৃষকের হার ৪৩ শতাংশ। ‘রাইট টু ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন ওয়াচ-২০১৯’র সমীক্ষায় দেখা যায়, ‘বিশ্বব্যাপী যে পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হয়, তার ৮০ শতাংশই আসে পারিবারিক কৃষি থেকে।
চাষের জন্য জমি প্রস্তুত থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা ও বাজারজাতকরণের পূর্ব পর্যন্ত কৃষিখাতের ২১ ধরনের কাজের মধ্যে ১৭টিতে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।’ বিবিএসের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে নারী শ্রমিকদের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা তৈরি পোশাক শিল্পে নারী আছেন ৪৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। প্রযুক্তি ও দক্ষতায় ঘাটতি, কম মুজুরীর কারণে তৈরি পোশাক খাতে (গার্মেন্টস) নারী শ্রমিকেরা পিছিয়ে পড়ছে।
আবহামানকাল ধরেই বাংলাদেশে কুটির শিল্পে নারীর সম্পৃক্ততা ও অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের পাশাপাশি মৃৎশিল্প আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। প্রাচীন কাল থেকে এ দেশের নারীরা এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত। ঘরে বসে পণ্য তৈরিতে নিরলস শ্রম দিয়ে আসছে এ দেশের গ্রামীণ নারীরা। পণ্য তৈরি, পোড়ানো, রঙ করা থেকে শুরু করে বাজারজাত করার ক্ষেত্রেও নারীরা অবদান রেখে চলেছে।
এসব শ্রমজীবী নারীর মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগই অশিক্ষিত, বাকি ১০ ভাগ সামান্য লেখাপড়া জানে। বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের একটি বিরাট অংশ দেশজ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তারা রয়ে গেছে উপেক্ষিত। পুরুষতন্ত্রের অবসান হোক। নারীপুরুষের সম্মলিত চেষ্টায় সমতার বিশ্ব বিনির্মাণ হোক। জগতে সুখী ও দুঃখী সকল নারীদের জন্য ভালবাসা ও শুভেচ্ছা।