ফুটবলটাই আমার জান, আমার প্রাণ- কাজী  ইমরুল কবির সুমন

0
684
স্বপন, সুমন

ফুটবলটাই আমার জান, আমার প্রাণ- কাজী  ইমরুল কবির সুমন 

একটা সময় ভালোই ফুটবল খেলতাম। এজিবি কলোনীর এই মাঠ সেই মাঠ, আরামবাগের নটরডেম কলেজ মাঠ, বালুর মাঠ(বাফুফে ভবন মাঠ), টিএন্ডটি কলেজ ও কলোনী মাঠ, শাহজাহানপুর কমলাপুর রেলওয়ে মাঠের ঘাস, মাটি আর বালুর সাথে কত মাখামাখি। ফুটবলের মায়ায় ছেড়ে দিয়েছিলাম সব কিছুই। এক সময় ঢাকা স্টেডিয়ামে(বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) শেখ গোলাম আকবর, শেখ গোলাম আজগর, আব্দুল হক, বখতিয়ার, মোটা বাবু মমিন, শামিম, মাহবুব বাবু, আখলাক সুজনের সাথে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের এজিবি কলোনীর প্রিয় জুটি অপু-মানিক ভাইয়ের খেলা দেখতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতাম।

ফকিরেরপুলের লম্বা সিল্কি চুলের আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের ডাবলু ভাই বা সুপার স্পিডি স্ট্রাইকার মোহামেডানের বন্ধুবর মাহবুব হোসেন রক্সি, ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলের দেশসেরা স্ট্রাইকার মিজান ভাই, মতিঝিল স্কুলের ক্রেজ বন্ধুবর মোহামেডানের আবু ফয়সাল আহমেদের খেলা দেখার অপেক্ষায় থাকতাম। বিআরটিসি, পরে মোহামেডানে খেলা আরামবাগে আমাদের প্রতিবেশী দেশসেরা রাইট উইংগার মনু ভাইয়ের খেলা দেখতেও ভিড় জমাতাম স্টেডিয়ামে। ওয়ারীতে খেলা লাইফবয়ের মডেল রাজ্জাক, বা আরামবাগের অধিনায়ক ছোটনও প্রগতির মাঠ আলোকিত করেছেন। সেসব তারকাদের সাথে একই মাঠে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল ছোটবেলার প্রিয় ক্লাব প্রগতি সংঘ, মতিঝিল। মাঠ ছোট ছিল বলে খেলা হতো পায়ের পোস্টে, এক দলের হয়ে ৫ জন মাঠে নামতে পারতো। মোহামেডানের অধিনায়ক মোঃ নুরুল হক মানিক ভাই ও আবাহনীর স্ট্রাইকার মোঃ জাবিদ হোসেন অপু ভাইকে নিয়ে গড়া আমাদের প্রগতি সংঘ দলটি প্রগতি সিলভার কাপে টিএন্ডটির মাতু, হাসানদের দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এ দলে আরো ছিল পলাশ, রিবন, মনির, কাওসার। প্রথম ছবিটি প্রগতি সিলভার কাপ চ্যাম্পিয়ন প্রগতি সংঘ দল। নিচের ছবিটি প্রগতি ঘরোয়া ফুটবলে খেলা ৪৩ নং বিল্ডিং দল। এ দলে আমরা ৪ ভাই খেলেছিলাম। ডাঃ ফারুক, সাংবাদিক সুমন, ইঞ্জিনিয়ার রিগান, শিল্প উদ্যোক্তা ছোট ভাই লরিন ছিল দলটিতে। সাথে ছিল প্রগতি সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক শিকদার ও পরে আওয়ামী যুবলীগ নেতা হওয়া বিপুল সান্যাল।


অপর ছবিগুলো প্রগতি সংঘের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্টানের। সেসময় আমি প্রগতির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শিল্প মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এমপি, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকোট শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন ছিলেন বিশেষ অতিথি।
আজ এই করোনাকালে মনে হচ্ছে
আহ্ কতদিন ফুটবল খেলি না, কতদিন ফুটবলে লাথি মারি না। এখন আর ঘুমের ঘোরেও ফুটবল দেখি না, স্বপ্নেও ফুটবল খেলি না, এ কেমন পৃথিবী। কিভাবে এতো বদলে গেলাম আমি।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধসিংড়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০ টি পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধমায়া – কবি সুবীর সরকারের কবিতা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে